মঙ্গলবার শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে অ-কংগ্রেসী বিরোধী জোটের বৈঠক
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে এবার বৈঠক ডাকলেন ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি প্রধান শরদ পাওয়ার। সোমবার দিল্লিতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনসিপি প্রধান। মঙ্গলবারই বৈঠকে বসতে চলেছে বিরোধী দলগুলি৷ তবে বৈঠকে ডাকা হয়নি সবচেয়ে পুরাতন দল কংগ্রেসকে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে নাগাদ এই বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ১৫ টি বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের।
সূত্রের খবর, সোমবার তৃণমুল নেতা যশবন্ত সিনহার নেতৃত্বে শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে চলে বৈঠক।
এনসিপির তরফে উপস্থিত ছিলেন মাজিদ মেনন। সমাজবাদী পার্টির তরফে উপস্থিত ছিলেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি। উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও। বৈঠকের পরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিনকয়েক আগেই শরদ পাওয়ারের মুম্বইয়ের বাসভবনে বৈঠক করেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোর। উপস্থিত ছিলেন রোহিত পাওয়ারও। সেদিন শরদ পাওয়ারের সঙ্গে পিকের মধ্যাহ্নভোজনের পরেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। তবে কী এখন থেকেই মোদি-শাহের বিরুদ্ধে ঘুটি সাজাচ্ছে বিরোধীরা?
যদিও এবিষয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, যারা পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং এমকে স্ট্যালিনদের সমর্থন করেছেন তাঁদের সঙ্গে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করবেন তিনি। এটি শুধুমাত্র ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’। সেই তালিকায় ছিল অন্যান্য দলের নেতৃত্বরাও।
সদ্য বিজেপিকে পরাজিত করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতার জয় দেখে সাহস জুগিয়েছেন অন্যান্য দলের নেতারাও। আগামী দিনে মোদি বিরোধী মুখ হিসাবে মমতাকে সমর্থন জানিয়েছেন আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, এনসিপি সহ অন্যান্য দলগুলি। কংগ্রেসকে মাইনাস করে মঙ্গলবারের থার্ড ফ্রন্টের বৈঠকে তারই রোডম্যাপ তৈরি করবেন শরদ পাওয়ার?
যদিও থার্ড ফ্রন্ট গঠনের বিষয় নিয়ে আগেও আলোচনা হয়। গত মাসেই শিনসেনা মুখপাত্র মোদি বিরোধী জোটের ডাক দেওয়ার প্রস্তাব দেন৷ সেই জোটের মুখ হিসাবে শরদ পাওয়ারের নাম ঘোষণা করেন তিনি। এরপর মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মেইল মোদি বিরোধী জোটের কথাও উল্লেখ করেন।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে একজোট হয়েছিলেন সমস্ত বিরোধী পক্ষের নেতারা। দিল্লির যন্তরমন্তরের পর কলকাতার ব্রিগেডের মহামঞ্চে শামিল হয়েছিলেন বিরোধী শিবিরের প্রথম সারীর নেতারা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।
বরং ২০১৪ তুলনায় বেশী আসন পেয়ে দিল্লি মসনদে বসেন নরেন্দ্র মোদি। গতবারের থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে আগে থেকে জোটের পরিকল্পনা। প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।