দুই সপ্তাহে তিনবার বৈঠকে শরদ পাওয়ার-প্রশান্ত কিশোর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কিন্তু মোদি সরকারকে গদিচ্যুত করতে রাজনীতির ঠান্ডা লড়াই শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর। গত দুই সুপ্তাহে তিনবার পাওয়ার-পিকে বৈঠক ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বাসভবনে একঝাঁক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর বুধবার আরও এক দফায় শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে বৈঠকে বসলেন প্রশান্ত কিশোর। যা ঘিরে জাতীয় রাজনীতির অন্দরে ফের রাজনৈতিক চাপানতোর শুরু হয়েছে।
সোমবার দিল্লিতে দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পর শরদ পাওয়ারের নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের ডাক দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা৷
রাজনৈতিক মহলে এই বৈঠককে তৃতীয় ফ্রন্টের প্রাথমিক সুচনা বলে মনে করা হচ্ছিল৷ কিন্তু এই সমস্ত কিছু জল্পনায় জল ঢেলে মঙ্গলবার শরদ পাওয়ারের বাসভবনের আট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি সহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বৈঠককে ‘অরাজনৈতিক’ বলে আখ্যা দেন এনসিপি নেতা মাজিদ মেনন।
তিনি বলেন, বৈঠকের আয়োজক ছিলেন যশবন্ত সিনহা, শরদ পাওয়ার নন। দেশের কোভিড পরিস্থিতি সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ‘অরাজনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে জানান সিপি(আই)এম নেতা নিলোৎপাল বসু।
মঙ্গলবারের বৈঠককে ‘অরাজনৈতিক’ নাম দিলেও দুই বর্ষীয়ান নেতার দেখানো পথেই হাঁটতে চাইছেন ‘রাষ্ট্রমঞ্চ’ এর নেতারা। এমনটাই ভালোভাবে আন্দাজ করতে পারছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই জোটের সূত্রধর প্রশান্ত কিশোরের কথায়, আমি বিশ্বাস করি না, বিজেপিকে সফল চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে তৃতীয় বা চতুর্থ ফ্রন্ট৷ আমি এধরনের কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নেই।
তবে প্রশ্ন হল জোট হলে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? এখন থেকে সেই বাছাইপর্বের কাজ শুরু না করলে ১৯ এর মতো মোদি লেহেরের বিপক্ষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে জোট।
এবিষয়ে তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহার কথায়, এখন থেকে জোটের প্রাথমিক পর্বের কাজ শুরু করা হোক। পরবর্তীকালে আরও অনেকে ধীরে ধীরে জোটের অংশ হবেন। সবশেষে সকলে মিলে স্থির করা হবে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত দুই পোড় খাওয়া রাজনীতিবীদদের দেখানো পথেই চলতে চাইছে ‘রাষ্ট্রমঞ্চ’।