NHRC in WB: ভোট পরবর্তী হিংসা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৭ সদস্যের দল গঠন করেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতিনিধি নিয়ে ওই দল গঠন করা হয়েছে। কমিশনের সদস্য রাজীব জৈনের নেতৃত্ব ওই দলটি রাজ্যে এসে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখবে।
ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়া এখনো অনেক নাগরিক। বারংবার যা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। অভিযোগ উঠেছে, ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছেনা রাজ্য সরকার।
এবার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যে এসেছেন তাঁরা। হিংসা পরিস্থিতি দেখতে হাড়োয়ায় পৌঁছলেন কমিশনের সদস্যরা। মোট ২২ জন এসেছেন। এদের মধ্যে ৮ জনের প্রতিনিধিদল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন দিক পরিদর্শন করবেন।
মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সকালেই শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছন। শিলিগুড়ি থেকে তারা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন দিকে রওনা দেবেন। এছাড়াও একটি দল রওনা দিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ এবং কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত খতিয়ে দেখতে।
১৮ জুন একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ঘরছাড়া নাগরিকদের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছাবে। সেক্ষেত্রে রাজ্যসরকারকে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুন্যার্থী শূন্য পুরীতে ১৪৪ ধারার বেষ্ঠনীতে পালিত হচ্ছে মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই ভোট পরবর্তী হিংসায় শীর্ষ আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসার একটি অভিযোগ জমা পড়েনি। অন্যদিকে সব অভিযোগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে জমা পড়েছিল। ৫৪১ টি অভিযোগ জমা পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করার পর উত্তরবঙ্গের জন্য তারা একটি পৃথক রিপোর্ট আদালতে জমা করবেন বলে জানিয়েছেন। কমিশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলের পাশাপাশি ভোট-পরবর্তী হিংসার জেরে ঘরছাড়া মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন তারা।
রাজীব জৈন ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য রাজুলবেন এল দেশাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি পদ মর্যাদার তদন্তকারী অফিসার সন্তোষ মেহরা এবং মঞ্জিল সাইনি, রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার প্রদীপ কুমার পাঁজা, রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য সেক্রেটারি রাজু মুখোপাধ্যায়।