কৃষক আন্দোলনের নতুন পর্ব, বন্ধ তিন মেট্রো স্টেশন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাত মাস অতিক্রান্ত হল দিল্লি উপকন্ঠে কৃষকদের আন্দোলন। অন্যদিকে ২৬ জুন উস্কে দিচ্ছে ইন্দিরা জমানার ‘জরুরী অবস্থা’-র কথা। সেই উপলক্ষে সমস্ত রাজভবন ঘেরাও করে ডেপুটেশন জমা দেবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দেবেন তাঁরা। তাই শনিবার চার ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে দিল্লির তিন মেট্রো স্টেশন।
দিল্লির পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়, সিভিল লাইনস এবং বিধানসভা মেট্রো স্টেশন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টো অবধি বন্ধ রাখা হবে। ‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের সমস্ত রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত অভিযানের ডাক দিয়েছেন কৃষক নেতারা। সমস্ত রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেবেন কৃষকরা। দেশের সমস্ত রাজ্যের কৃষকরা নিজ নিজ ভাষায় এই স্মারকলিপি রাজ্যপালদের হাতে তুলে দেবেন।
অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভার সদস্য তথা এসকেএম নেতা হান্না মোল্লার কথায়, “৪৬ বছর আগে ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার জরুরী অবস্থা জারি করেছিল৷ মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। প্রায় দেড় লক্ষ বিরোধী নেতাদের জেলে পোড়া হয়েছিল। জরুরী অবস্থার বর্বরতা আমরা ১৯৭৫-৭৬ সালে দেখেছি৷ সেই জরুরী অবস্থা ভারতীয় গণতন্ত্রে সবচেয়ে বড় আঘাত এনেছিল৷ সংবিধানের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ৪৬ বছর পর ৭ বছর এখন দেশে নরেন্দ্র মোদির সরকার চলছে। এমার্জেন্সির সময় যে গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছিল, সেই অবস্থা এখন তৈরি হয়েছে”।
শতাধিক সংক্রমিত এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে নজরদারী প্রশাসনের
সিপি(আই)এম পলিটব্যুরো সদস্যের কথায়, ” ওই সময় ঘোষিত এমার্জেন্সি ছিল, এখন অঘোষিত এমার্জেন্সি চলছে। অর্থাৎ ওই সময় মানুষের অধিকার যেভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, আজকে এমার্জেন্সি ঘোষণা না করে সমস্ত অপকর্ম করা হচ্ছে। সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। সংসদের কোনও মর্যাদা নেই। বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর আঘাত আনা হয়েছে। কৃষকদের কথা না শুনে জোর করে সমস্ত কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসমস্ত কিছুর প্রতিবাদে ২৬ জুন ‘কৃষি বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’ এর ডাক দেওয়া হয়েছে”।
শুক্রবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়ে কৃষক আন্দোলনের নেতারা জানান, রাষ্ট্রপতি যেন কেন্দ্রকে তিন কৃষি আইন ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবারের ক্ষোভের পর এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে বলে জানায় এসকেএম। শুধুমাত্র কৃষক বা ক্ষেত বাঁচানোর লড়াই নয়, এটা সংবিধান রক্ষার লড়াইও।