কসবা কান্ড থেকে শিক্ষা , যত্রতত্র করোনা টিককরণ শিবিরে লাগাম টানতে উদ্যোগ নবান্নের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ভুয়ো ভ্যাকসিন কণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার যত্রতত্র করোনা টিককোরণ শিবির আয়োজনে লাগাম টানতে উদ্যোগী হল নবান্ন।এবার থেকে সরাসরি প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোন সংস্থা বা সংগঠন টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে পারবে না। এর জন্য নির্দিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর অনুমতি বাধ্যতামূলক। ভুয়ো টিকা কাণ্ডের পর কড়া পদক্ষেপ নবান্নের।

বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, কোনওরকম টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করতে গেলে প্রশাসনের অনুমতি নিতেই হবে। এর জন্য নির্দিষ্ট জেলার জেলাশাসক বা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর অনুমতি বাধ্যতামূলক।

সম্প্রতি কসবায় ভুয়ো টিকা কাণ্ডের পর রাজ্যের এই পদক্ষেপ। ইতিমধ্যেই ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ খুঁজে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসুও একই দাবি তুলেছেন। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।

উল্লেখ্য, ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে তত্পর কলকাতা পুরসভা। কসবা এলাকায় ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার তরফে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। দেবাঞ্জনের ভুয়ো ক্যাম্পে যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন পুরসভার মেডিক্যাল অফিসাররা। অন্যদিকে আমহার্স্ট স্ট্রিটে সিটি কলেজেও স্বাস্থ্য দফতরের শিবির বসেছে।

কৃষক আন্দোলনের নতুন পর্ব, বন্ধ তিন মেট্রো স্টেশন

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কসবা ছাড়া উত্তর কলকাতার আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজেও টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেন দেবাঞ্জন। ওই কলেজের অধ্যক্ষ দাবি করেন, কর্তৃপক্ষের আস্থা অর্জন করার জন্য দেবাঞ্জন কলকাতা পুরসভার জয়েন্ট কমিশনার পরিচয় দিয়ে প্রথমে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলি করেন। এর পর ১৮ জুন কলেজে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হয়।

ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের কীর্তিতে চক্ষু চড়কগাছ দুঁদে গোয়েন্দা আধিকারিকদের। শুধু মাস্ক-স্যানিটাইজার নয়, দেবাঞ্জন সংগ্রহ করতেন করোনার ওষুধও। শুক্রবার ট্যাংরার এক ওষুধ ব্যবসায়ী কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তাঁর অভিযোগ, করোনার ওষুধ ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ বাবদ দেবাঞ্জনের কাছে প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা পাওনা রয়েছে। ২০২০-তে তালতলায় একটি ক্লাবের জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপ হওয়ার সময় নিজেকে কলকাতা পুরসভার আধিকারিক বলে পরিচয় দেন দেবাঞ্জন। কলকাতা পুরসভার ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে দু’-দু’বার দেবাঞ্জন চেকও দেন বলে ট্যাংরার ওষুধ ব্যবসায়ীর দাবি।

শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, ‘শুধু কসবায় নয়, শহরের আরও বেশ কিছু জায়গায় ওই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের গোয়েন্দা শাখা বিষয়টির তদন্ত করছে। কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, কারা দিয়েছে, কীভাবে দিয়েছে, কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল, সেটা নিয়ে তদন্ত হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট