প্রথমবার বিমান ঘাঁটিতে ড্রোন স্ট্রাইক, গাঢ় হচ্ছে পাক জঙ্গি যোগের জল্পনা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার রাত দু’টো নাগাদ পর পর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু বিমানবন্দর লাগোয়া ভারতীয় বিমান ঘাঁটি। ঘটনার পিছনে জঙ্গি যোগের জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। পুলিশের অনুমান, ঘটনার পিছনে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠি লস্কর-ই-তৈবার যোগ রয়েছে। কোনও জনবহুল জায়গাতে হামলার ছক রয়েছে তাদের।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দীলবাগ সিং জানিয়েছেন, দুটি বিস্ফোরণে ড্রোনের ব্যবহার করা হয়েছে। ওই এলাকা থেকে আরও একটি বোমা উদ্ধার করেছে জম্মু পুলিশ। অনুমান করা হচ্ছে, কোনও জনবহুল জায়গাতেই বিস্ফোরণের ছক ছিল জঙ্গিদের৷ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। ইউএপিএ মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যাতে অভিযুক্তদের কোনও তথ্য ছাড়াই ৬ মাস অবধি হেফাজতে নেওয়া যেতে পারে।
পাকিস্তানের সীমানা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে ওই বিমান ঘাঁটিতে সর্বদা কড়া নজিরদারি থাকে নিরাপত্তা বাহিনীর। সূত্রের খবর, রবিবার রাত ১ টা ৩৭ এবং ১ টা ৪৩ নাগাদ পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বিমান ঘাঁটি। প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। ঘটনায় বায়ু সেনার দুই জন কর্মী আহত হয়েছেন। একটি বোমার আঘাতে টেকনিকাল বিভাগের ছাদে ক্ষতি হয়েছে। অন্যটি ফাঁকা জায়গাতেই পড়েছে।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেশে গেরুয়া গড়ে ভাঙন, ‘চানক্যে’-র হাত ধরে তৃণমূলে বিজেপি এজেন্ট
বায়ু সেনার পাশাপাশি জম্মু বিমানবন্দরে সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের চলাচল রয়েছে। ঘটনার প্রভাব যাত্রীবাহী বিমান চলাচলে পড়বে না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া বয়ানে জানিয়েছেন জম্মু বিমানবন্দরের ডিরেক্টর প্রভাত রঞ্জন বেউড়িয়া।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বায়ু সেনা বিভাগ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। এর আগে ড্রোনের মাধ্যমে একাধিকবার হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। কিন্তু তা সফল হয়নি। ২০১৯ সালে পাঞ্জাবে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ মিলেছিল। তখন থেকেই বাড়তি নজর রেখেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই প্রথমবার এ ধরনের ঘটনায় নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে।
এই মুহুর্তে তিন দিনের লাদাখ সফরে উপস্থিত হয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং সেনাপ্রধান এম এম নারভানে। চিন নিয়েই সেখানকার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলবেন রাজনাথ সিং । রবিবার বিস্ফোরণের ঘটনার পর ফোন করে ভারতীয় বায়ু সেনার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।