COVID19: বুধ ও বৃহস্পতি রাজ্য জুড়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে, রাজ্যের সঙ্গে বিমাত্রিসুলভ আচরণ করছে কেন্দ্রঃ মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ কোভিডের টিকা বন্টনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের সঙ্গে বিমাত্রিসুলভ আচরণ করছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। আজ নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, টিকার মজুদ কম থাকায় আজ থেকে দুই দিন প্রথম ডোজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় সরকার এখনো পর্যন্ত রাজ্যকে এক কোটি ৯৯ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছে বলে তিনি জানান। এরপরেও রাজ্য সরকার ৫৯ কোটি টাকা খরচ করে ১৮ লক্ষ ভ্যাকসিন কিনেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
প্রতিদিনই টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য ভিড় বাড়ছে। ফলে অসুবিধায় পড়ছেন দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ৷ বিষয়টি অজানা নয় স্বাস্থ্য ভবনেরও৷ ভ্যাক্সিনের প্রভূত সঙ্কট থাকা সত্ত্বেও, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সব জেলাগুলিকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্যর স্বাস্থ্য দফতর৷ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানানো হয়েছে৷
তাতে বলা হয়েছে, যত ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে তার ৫০ শতাংশ সংরক্ষিত করে রাখতে হবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই বহাল থাকবে৷ স্বাস্থ্য দফতরের এই নির্দেশের পরেই কলকাতা পুর এলাকায় প্রথম ডোজ দেওয়া আপাতত স্থগিত। বুধ ও বৃহস্পতি বার কলকাতা পুর এলাকায় কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকার দ্বিতীয় ডোজই দেওয়া হবে৷
টাটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রাজ্যে দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার ১২-১৬ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ পাবেন উপভোক্তারা৷ কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ৪-৬ সপ্তাহ৷ স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, ১ এপ্রিল থেকে ৭ মে-র মধ্যে যাঁরা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাঁদের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেলতে হবে৷
২৩টি জেলার মধ্যে কলকাতায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷ ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৬৩ জনকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতেই হবে৷ কলকাতার পরেই আছে হুগলি৷ সেখানে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় আছেন ২ লক্ষ ২০ হাজার ৮৩৭ জন৷ আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যের ৩৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৬৪০ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
উল্লেখ্য, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন শিবির থেকে অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে বলে এদিন নবান্ন থেকে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা এই শিবির থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়ে তাদের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শমত পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি প্রতিশ্রুতি দেন।