অধিবেশনের প্রথম দিন সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, হুইপ জারি তৃণমূলের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশন শুরুর প্রথম দিন। তার আগে বৃহস্পতিবার রীতিমতো হুইপ জারি করে বিধানসভার প্রথম দিনে বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক জানিয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রত্যেক বিধায়ককে এসএমএস মারফত জানানো হয়েছে অধিবেশন শুরুর আগেই প্রত্যেকে যেন নিজের আসনে পৌঁছে যান।
শুক্রবার দুপুর ২টায় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। যদিও সেই ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে না তা জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছেছে। তৃণমূল বিধায়কদের নির্দেশ দিয়ে দলের তরফে জানানো হয়েছে ১.৪৫ মিনিটের মধ্যে প্রত্যেক বিধায়ক যেন নিজের চেয়ারে পৌঁছে যান।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিধানসভার শুরুর আগের দিন হুইপ জারি করে বিধায়কদের নির্দেশ পাঠানো এক প্রকার ক্ষমতার আস্ফালন বটে। কোনভাবেই বিধানসভায় রাস হালকা করতে রাজি নয় তৃণমূল সুপ্রিমো। সূত্রের খবর এই দিনে বিধান পরিষদ সংক্রান্ত বিল বিধানসভায় প্রস্তাব রাখতে পারে তৃণমূল।
দেবাঞ্জনের PSO-র সঙ্গে রাজ্যপাল, তাহলে দেবাঞ্জনের কার্যকলাপ জানতেন রাজ্যপাল? প্রশ্ন তৃণমূলের
বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন দিল্লিতে মোদী-শাহের দরবারে হাজির হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী শিবির থেকেই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার গঠন মূলক সহযোগিতার বদলে সংঘাতের পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। তার কারণ মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করেননি স্পিকার।
একইসঙ্গে কাগজে-কলমে পিএসির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়ের নাম এগিয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রথম দিন থেকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হবে বিধানসভায় তা স্পষ্ট। সেই রেশ সপ্তমে চড়াতেই প্রত্যেকে বিধায়কের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করেছে তৃণমূল।