ইন্টার্নশিপ পিরিয়ডঃ বদলে দিতে পারে কেরিয়ারের ডেস্টিনেশন

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় যারা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার (Human Resource Management) দায়িত্বে থাকেন তাদের কাছে ইন্টার্নশিপের গুরুত্ব রয়েছে।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ শেষ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। কিছুদিন পরেই শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপরই কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া।

ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি ছাড়াও অনেকেই পলিটেকনিকের এন্ট্রান্স দিয়ে আগামী দিনের হাইয়ার এডুকেশনের জন্য এগোনোর চিন্তাভাবনা করে।

তবে গতানুগতিক বিষয়গুলি নিয়ে পড়াশুনার থেকে এখন অনেকেই অনেকেই এমন কিছু বিষয় নিয়ে পড়াশুনোতে আগ্রহ প্রকাশ করছে যাতে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা না হয়।

আরও পড়ুনঃ রক্তদান করুন, অন্যকে উৎসাহিত করুন…অবলম্বন করুন সতর্কতা

দেখা গেছে, বেশীরভাগ অভিভাবকরা চান তার ছেলে-মেয়ে ভাল কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ুক। তবে সমীক্ষা কিন্তু বলছে অন্য কথা। জানা যাচ্ছে, এক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় কলেজ ছাড়া পড়াশুনোর সমস্যা রয়েছে।

দেশের অর্থনীতির অবস্থা টালমাটাল। বাড়ছে বেকারত্বের হার। শিল্প বৃদ্ধির হার তলানিতে। ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরির মূল বিষয় কাজের চরিত্র এবং চাহিদা বদলে গিয়েছে। সিলেবাস অনুযায়ী পড়াশোনা আর চাকরির মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাকও তৈরি হচ্ছে।

তাই জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়ে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন তাদের,দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে।

সাধারণত ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর চাকরিতে প্রবেশের আগে ইন্টার্নশিপ করতে হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় যারা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার (Human Resource Management) দায়িত্বে থাকেন তাদের কাছে ইন্টার্নশিপের গুরুত্ব রয়েছে।

ভাল নম্বর বা ডিগ্রী নিয়ে পাশ করার পর অনেকেই খুব স্বল্প পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ইন্টার্নশিপ করতে চান না। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইন্টার্নশিপ মূল চাকরীতে প্রবেশের আগে প্রয়োজনীয়।

কারণ স্কুল-কলেজের ক্লাসরুমের শিক্ষা চাকরীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারে না। এই ব্যবধান মেটাতেই ইন্টার্নশিপ।

অনেকে পড়াশুনো করতে করতেই ইন্টার্নশিপ করেন। তাতে থিয়োরির পাশাপাশি প্র্যাক্টিক্যাল কাজটাও শেখা যায়।

বর্তমানযুগে প্রথাগত পুঁথিগত পড়াশুনোর পাশাপাশি প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে জানতে হবে কী ভাবে নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে। কোন কোন প্রোগ্রামিং কাঠামোর চাহিদা বেশি।

ইন্টারনেট, ক্লাউড, ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন ট্রেডিং কীভাবে বদলে দিচ্ছে ব্যবসার ধরণ। এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সোশ্যাল মিডিয়া।

সাধারণত ৩ মাস থেকে ৬ মাসের ইন্টার্নশিপ থেকে অনেক কিছু শিখে নেওয়া সম্ভব। যা চাকরি পেতে ভবিষ্যতে অনেক সাহায্য করে।

প্রকৃত কাজের পরিবেশে কাজ করার পাশাপাশি সেই সংস্থার অন্যান্য কর্মীরাই বা কেমন সেই সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়।

কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ পাওয়ার একটা ব্যবস্থা হয় শেষের দিকে। নিজের উদ্যোগে ইন্টার্নশিপ খোঁজার চেষ্টা করা উচিত।

ছোট বা মাঝারি সংস্থায় এই সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। কাজের জগতের সঙ্গে সংযোগ গড়ে তোলাটাই প্রয়োজন। কারণ এই ৩-৬ মাস বদলে দিতে পারে কেরিয়ারের ডেস্টিনেশন।

সম্পর্কিত পোস্ট