হাসিনার পাঠানো হাঁড়িভাঙা আমে মাতোয়ারা দিল্লি, কেন এমন নাম?
দ্যা কোয়ারি ডেস্ক: করোনা সংকটেও আম-কূটনীতি তুঙ্গে। ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশের বিশেষ বিশেষ আমের পারস্পরিক বিনিময় চলছে। উপমহাদেশের বহু প্রাচীন রীতির সৌজন্য উপহার তো বটেই, আসলে আম আমেজে মিশে থাকে কূটনৈতিক বার্তা।
সীমান্ত দিয়ে আসা যাওয়া বন্ধ। তবে বাংলাদেশ সরকার এবারের আম সৌজন্য দেখাতে বিখ্যাত হাঁড়িভাঙা আম পাঠাল নয়াদিল্লিতে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উপহারে দিল্লির কূটনৈতিক মহল ম ম করছে।
করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার চুক্তি মাফিক পুরো চালান না পেয়ে রাশিয়া ও চিনের টিকার উপরেই ভরসা করেছে বাংলাদেশ। তবে ভারতের জন্য আম শুভেচ্ছা দিয়েছে ঢাকা।
হাঁড়িভাঙা বা হাঁড়িভাঙ্গা আম কেমন ?
আশির দশকে এই আমের আচমকা আগমণ হয় বাংলাদেশের আম বাজারে। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়ন থেকে এই আম এসেছিল।
রংপুর জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য, স্থানীয় উদ্যানবিদ নফল উদ্দিন পাইকার তাঁর বাগানে মালদিয়া বলে একটি বিশেষ শ্রেণির আমের গাছ রোপণ করেন। সেই আম গাছটির নিচে তিনি মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে জল দিতেন। কোনও কারণে সেই মাটির হাঁড়ি ভেঙে যায়।
সে গাছে বিপুল পরিমাণ আম ধরেছিল। খুবই সুস্বাদু আম বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যান তিনি। অনেকেই ওই আম সম্পর্কে জানতে চায়। নফল উদ্দিন বলেন, আমার যে গাছের নিচের হাঁড়িটা ভেঙেছিল সেই গাছেরই আম। লোকমুখে তখন থেকেই ওই গাছটির আম হাঁড়িভাঙা আম নামে পরিচিতি পায়।
তালিবান অনলাইন ক্যাব বুকিং! যাত্রীদের ভিড়
লোকমুখে এই আমের স্বাদ ও খ্যাতি দ্রুত বাংলাদেশ জুড়ে ছড়ায়। বিখ্যাত আম বাজারগুলিতে হাঁড়িভাঙা আমের চাহিদা বাড়তে থাকে। একসময় এই আমের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে যায়। বৈদেশিক মূদ্রা আনা বিশেষ এই আমের রক্ষণাবেক্ষণ করতে উদ্যোগী হয় রংপুর জেলা প্রশাসন।
ভেষজ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাঁড়িভাঙা আমের গুণাগুন। গবেষণায় উঠে এসেছে এই আম রাতকানা রোগীর জন্য উপকারি। এছাড়াও আরও গুণাগুণ রয়েছে।
বাংলাদেশের আমের রাজত্ব রাজশাহী। এখানকার হিমসাগর বিশ্ববিখ্যাত। তবে রংপুরের হাঁড়িভাঙা আম চমকপ্রদ। কারণ এর কৌলীন্য কূটনীতির মঞ্চে রয়েছে।