দুয়ারে ত্রাণঃ সাত জেলার ৩০ হাজার পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৩.৫৮ কোটি টাকা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত সাত জেলার ৩০ হাজার পরিবারের পরিবারের কাছে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের টাকা পৌঁছে দিল রাজ্য সরকার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইতিমধ্যে ২৩.৫৮ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। সেই অনুযায়ী দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই থেকে ৫ জুলাই— প্রথম ৫ দিনেই সাত জেলার ৩০ হাজার পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৩.৫৮ কোটি টাকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ১৯ লাখ ৫৮ হাজার পরিবারকে ২৭৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হবে বলে দপ্তর সুত্রে জানা গেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি, ঘর মেরামত বাবদ প্রথম দফায় ৭টি জেলা প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যে ৫০ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতবছরের আম্ফান ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পর্যায়ে প্রাণ এবং ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তথা সরকার। আমফানের চাল চুরি ট্রিপল চুরির অভিযোগ বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্যন্ত তাড়া করে ফিরেছে তৃণমূলকে। তাই এবার ইয়াস দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে গোড়া থেকেই কঠোর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সরাসরি ক্ষতিপূরণ এবং ত্রাণ পাঠাতে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। যেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বাদ দিয়ে শুধুমাত্র প্রশাসনযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষের কাছে ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
একইসঙ্গে ভুয়ো আবেদন আটকাতে ও কঠোর প্রশাসনিক নজরদারি ছিল। সেই ছাকনিতে আটকে এত সংখ্যক আবেদন বাতিল হয়েছে বলে দাবি রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গোটা প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখতে কোনও জনপ্রতিনিধিকে শামিল করা হবে না। পুরোটা সরকারি আধিকারিকেরা দেখবেন।
সেই মতো আবেদনের সত্যতা খতিয়ে দেখতে যান ঘটনাস্থলে যান সরকারি আধিকারিকরা। প্রথমেই দেখা যায়, এমন অনেক পরিবার রয়েছে যার দুজন সদস্য একসঙ্গে ত্রাণের আবেদন জানিয়েছেন। অনেকে আবার আবেদন করতে গিয়ে ভুল করেছেন। এরকম একাধিক ঘটনা উঠে আসায় এই বিপুল পরিমাণ আবেদন বাতিল করতে হয় রাজ্য সরকারকে। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।