বিধান পরিষদের নামে সাদা হাতি পোষার ব্যবস্থা করছে সরকার, যার বিশাল খরচ জনগণের ঘাড়ে চাপবেঃ সূর্যকান্ত মিশ্র

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিধানসভায় বিধান পরিষদ প্রস্তাব পাস নিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করল বামের। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিবৃতি দিয়ে জানান, পুনরায় কোন যুক্তি ছাড়াই বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব পেশ করে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে পাস করালো রাজ্য সরকার। রাজ্যবাসী স্বার্থ এবং রাজ্যের আর্থসামাজিক প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা না করে সরকারপক্ষ এই প্রস্তাব পাশ করিয়েছে বলে মন্তব্য প্রকাশ করেন তিনি।

তাঁর কথায়, ভারতের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে আঞ্চলিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে আইনসভার উচ্চ কক্ষ বরাদ্দ আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য আইনসভার উচ্চকক্ষের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। বর্তমানে দেশে মাত্র ছয়টি রাজ্যে বিধান পরিষদ বা উচ্চকক্ষ রয়েছে। প্রায় সব রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব নিয়ে বিধান পরিষদ তুলে দিয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এদিন জানান পশ্চিমবঙ্গেও স্বাধীনতার পরে বিধান পরিষদ থাকলেও তার কার্যপ্রণালীর কার্যকারী ভূমিকা ছিল না।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের পর থেকে ১৭ বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভায় ৪৩৬ টি বিল পাস হয়েছে। তার মধ্যে মাত্র দুটি বিল সংশোধিত হয়েছিল। বিধান পরিষদের ১৯৬৯ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব নিয়ে বিধান পরিষদ তুলে দেয়। ২০১১ সালে রাজ্য তৃণমূল আসার পর কয়েক মাসের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বিধান পরিষদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন বিধানসভায় বামফ্রন্টের বিরোধীতায় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।

দুয়ারে ত্রাণঃ সাত জেলার ৩০ হাজার পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২৩.৫৮ কোটি টাকা

রাজ্য সরকারকে এদিন সিপিআইএমের সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র তুলোধনা করে জানান, বিপদের সময় সরকার মানুষকে ওষুধ, অক্সিজেন পরিষেবা দিতে পারছেনা। হাসপাতালের শয্যার পরিকাঠামোর ব্যবস্থা সঠিকভাবে করতে পারছেনা। শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। মানুষের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতেই সরকার ব্যর্থ। আমজনতাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বদলে শাসকদলের কয়েকজনকে পিছনের দরজা দিয়ে পুনর্বাসন দিতেই বিধান পরিষদের নামে সাদা হাতি পোষার ব্যবস্থা করছে সরকার। যার বিশাল খরচের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট