খোয়াতে পারেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ, মোদী-শাহকে মোকাবিলায় অধীরেই ভরসা হাইকম্যান্ডের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা পরিবর্তনের আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই। আসন্ন বাদল অধিবেশনে বহরমপুরের সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাতেই থাকছে ব্যাটন। এমনটাই জানা গিয়েছে কংগ্রেস সূত্রে।
মোদী-শাহ মোকাবিলায় আপাতত পোড়খাওয়া নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর ওপরেই আস্থা রাখতে চাইছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বেশ কয়েকদিন ধরেই তুমুল জল্পনা চলছিল লোকসভার বিরোধী নেতার পদ খাওয়াতে পারেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কংগ্রেসের অভ্যন্তরে একটা অংশই বিদ্রোহী মনোভাব প্রকাশ করেছেন অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এরমধ্যেই সংসদীয় কমিটির বৈঠক ডাকেন সোনিয়া গান্ধী। তাতে আরও কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল জল্পনা।
১৯ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে বাদল অধিবেশন। তার আগে পরিবর্তন হতে পারে লোকসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা। এমন খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি উঠে আসে চার জন নেতার নামও। যাদের মধ্যে এই গিয়েছিলেন শশী থারুর।কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ সূত্রে জানা যায় কংগ্রেস এখন এক ব্যক্তি একপদ নীতিতে চলতে চাইছে। সেই কারণেই সরানো হতে পারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।
প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু, শুভেন্দুর বাড়িতে CID, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
কংগ্রেসের অন্য একটি অংশ সূত্রে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের শোচনীয় ফলাফলের কারণেই দলনেতার পদ থেকে সরতে হতে পারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যদিও আপাতত সেই জল্পনায় জল পড়ল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তবে একই সঙ্গে কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। পরিবর্তে কাকে স্থলাভিষিক্ত করা হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই আব্দুল মান্নান, সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দলত্যাগ এবং রোহণ মিত্রের ইস্তফার পর নড়েচড়ে বসেছে বঙ্গ কংগ্রেস। এখন দেখার হাইকমান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী নেয়।