দ্বন্দ্ব ভুলে গুরুঙের হাত ধরতেই ইস্তফা বিনয় তামাঙের ? জোর জল্পনা পাহাড়ে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গত সপ্তাহে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধান চেয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে এসেছিলেন বিমল গুরুং। দীর্ঘ বৈঠকের পর ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনার হয়েছিল তা নিয়ে প্রকাশ্যে কেউই কোনো মন্তব্য করেনি। এরই মাঝে পাহাড়ের রাজনীতি অন্যদিকে মোড় নিল।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিনয় তামাং। পাহাড়ে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুংয়ের অশান্তির জেরে বারবার উত্তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তবে এদিন বিনয় তামাং সভাপতি পদ ছাড়াই খুশি বিমল গুরুং। সূত্রের খবর বিনয় তামাং বিজেপি অথবা তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। জানান, ২০১৭ সালের পর থেকে দল ভাগ হয়ে গিয়েছে। একটা বিমল গুরুংয়ের। আর একটা আমার। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে আমাকে রাজনীতি থেকে সরানোর চক্রান্ত চলছে। তাই আমি পদত্যাগ করলাম। তাহলে এখন আর বিনয় পন্থী মোর্চা বলে কিছুই থাকল না। দলের নেতৃত্বদের কাছে আমার অনুরোধ দয়া করে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করুন।
তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, আগামী দিনে রাজনীতিতেই থাকবেন। রাজনৈতিক কেরিয়ার মোড় নেবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। তবে খুব শীঘ্রই নতুন জার্নি শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিনয় তামাং এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বিমল গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ভাগের পর থেকেই বিনয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন বিনয় তামাং। তাই তার বিজেপি কিংবা তৃণমূল যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী। এই মুহূর্তে তাঁর হাতে রয়েছেন এক বিধায়ক। তাই জল্পনা অবশ্যম্ভাবী।
বিনয়ের এই সিদ্ধান্তে আক্ষেপ করেছেন বিনয় পন্থী মোর্চা সাধারণ সম্পাদক অনিত থাপা। তিনি জানিয়েছেন, ‘বিনয় তামাংকে আমি সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তাঁর এই হঠকারি সিদ্ধান্তে আমি মর্মাহত। সংবাদমাধ্যমে এইভাবে পদত্যাগ করাটা বিনয় তামাংয়ের উচিত হয়নি’।
দীর্ঘদিন ধরেই পাহাড়ে রাজনীতিতে বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুং দ্বন্দ্ব চলছে। একসময় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিনয় ও গুরুং শিবিরে ভাগ হয়ে যায়। এদিন যেভাবে পদত্যাগ করলেন বিনয় তামাং এবং নয়া রাজনৈতিক যাত্রার বিষয়ে ইঙ্গিত দিলেন তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিবাদ ভুলে বিমল গুরুঙের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন বিনয় তামাং। তিনি গুরুংপন্থী মোর্চায় যোগ দিলে পাহাড়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হবে, তা স্পষ্ট।