শাঁখের করাত বিনয় তামাং, বিদ্রোহের মুখে গুরুং

গুরুং শিবিরে বিদ্রোহের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিদ্রোহের মুখে গুরুং। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্দরে গুরুং গোষ্ঠীর মধ্যেই বিরোধী সুর শোনা যাচ্ছে। এমনটা গত কয়েকদিন আগেও অবিশ্বাস্য ছিল।

গোজমুমো (GJM) গুরুং গোষ্ঠীর যুব সদস্যদের প্রবল আপত্তি বিনয় তামাংকে নিয়ে। তিনি ফের বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তামাং কে পাশে নেওয়া কোনওভাবেই মানা হবে না। এমনই বার্তা দিয়েছেন গোজমুমো যুব সদস্যরা। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে ছড়িয়েছে এই বার্তা।

প্রতিটি বার্তায় দলনেতা বিমল গুরুং কে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বিনয় তামাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেওয়ার পরিনাম ভালো হবে না।

সম্প্রতি গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) পরিচালনা থেকে সরে গিয়ে নিজেকে ফের গুরুং শিবিরে ঘনিষ্ঠ করার কাজ শুরু করেছেন বিনয় তামাং। এর জেরে গুরুং শিবিরে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সমর্থনে ধস নামার আশঙ্কা করছে গুরুং শিবিরের নেতৃত্ব।

গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের সময় তামাং ছিলেন গুরুং বিরোধী শিবিরের নেতা। আর গুরুং তখন প্রবল তৃণমূল বিরোধী বিজেপি ঘনিষ্ঠ। দার্জিলিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনায় কখনও সিকিম তো কখনও নেপালে আত্মগেপনে ছিলেন। সেই সময়ে বিনয় তামাং ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ।

বিধানসভা ভোটের আগে দার্জিলিং পার্বত্যাঞ্চলের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দেন তৃণমূল নেত্রী। পলাতক বিমল গুরুংয়ের উপর থেকে বিভিন্ন মামলা প্রত্যাহার করা হয়। দার্জিলিং ফিরেই গুরুং প্রকাশ্য জন সমাবেশে বিনয় তামাং কে পাহাড় ছাড়া করার হুমকি দেন। সেই হুমকির পরেই কার্সিয়াংয়ে তামাং করেন পাল্টা জনসভা। পুরো পার্বত্যাঞ্চল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুং ও তামাং শিবিরে ভাগ হয়েছিল। বিজেপি তামাংকে সমর্থন করে। আর তৃণমূলের হয়েই নেমে পড়েন গুরুং।

নির্বাচনের ফলাফলে গুরুং শিবিরের সমর্থন দৈন্যদশা দেখা যায়। যদিও গুরুংপন্থীদের কাছে বিনয় তামাং পিছু হটতে থাকেন। দু পক্ষের মধ্যে বরফ গলছিল। তামাং ফের বশ্যতার কথা বলতেই বিমল গুরুং স্বাগত জানান। এর পরই গোজমুমো গুরুং শিবিরে বিদ্রোহের উত্তাপ বাড়তে শুরু করেছে।

বিমল গুরুংয়ের কাছেই বিদ্রোহের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন তাঁর যুব অনুগামীরা। সেখানেই গুরুং পেয়েছেন বিদ্রোহের আঁচ।

সম্পর্কিত পোস্ট