করোনার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেশী শিশুদের, প্রাইমারী স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল ICMR-র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা কাটায় বিদ্ধ গোটা দেশ। দ্বিতীয় ঢেউ এখনো পুরোপুরি বিদায় নেয়নি তারি মাঝে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন গোটা দেশ তথা বিশ্বের মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই তৃতীয় ঢেউ সবথেকে বেশি আঘাত হানবে শিশুদের ওপর। গোটা দেশ তথা রাজ্যজুড়ে শিশুদের চিকিৎসা পরিকাঠামো উন্নত করার বিষয় সচেষ্ট সরকার।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার প্রাইমারি স্কুল খোলার পক্ষে সওয়াল করল আইসিএমআর। যুক্তি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ডিজি বলরাম ভারগাভ জানিয়েছেন কোভিড সামলানোর ক্ষমতা ছোটদের অনেকটাই বেশি তাই প্রাইমারি স্কুল থেকে ধাপে ধাপে পুরোপুরি স্কুল এবং কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক পাশের কটাক্ষ বন্ধের আবেদন মনোবিজ্ঞানীদের
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আইসিএমআরের ডিজি জানান ভারত যখন মনে করবে স্কুল খোলার সময় হয়েছে তখন সবথেকে ভালো হবে যদি প্রাইমারি স্কুল গুলি প্রথমে খোলা হয়। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে। তবে স্কুল বাসের চালক শিক্ষক এবং সমস্ত কর্মীদের টিকাকরন বাধ্যতামূলক বলেও জানান তিনি। তবে এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কোন জায়গায় স্কুলটি অবস্থিত। সেখানকার সংক্রমণের রেখচিত্রটাই বা কেমন।
একই সঙ্গে তিনি এদিন জানিয়েছেন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শিশুদের করোনার সংক্রমণ হলে মোকাবিলা করার ক্ষমতাও বেশি। তার যুক্তি যে. রিসেপ্টরের মাধ্যমে করোনা মানবদেহে প্রবেশ করে তা প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের শরীরে কম থাকে। ফলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ অনেকটাই কম।
আইসিএমআর কর্তার দাবি, মঙ্গলবার সেরোসার্ভের চতুর্থ রিপোর্ট হাতে এসেছে। তাতে দেখা গেছে বড়দের মতো শিশুদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। মোটামুটি ৬৭ শতাংশ শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ৯ বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ, ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬১শতাংশ। অর্থাৎ বাচ্চারা করোনা সংক্রমিত হলেও বেশির ভাগই লড়াই করে জিতেও ফিরেছে বলেই মনে করছে আইসিএমআর।