“যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে ২৪-এ খেলা হবে, মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার আমাদের বিরক্ত করবেন না”: বার্তা মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে ২০২৪-লোকসভার দিল্লি চলোর বার্তা দিলেন তৃণমূল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে বিজেপিকে তুলোধনা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অভিযোগ করেন, গণতন্ত্র ধ্বংস করছেন মোদি-শাহ। তাঁর বার্তা, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে৷ তাই বিরোধী দলগুলিকে এককাট্টা হতে হবে এখন থকেই।
আগামী সপ্তাহেই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের কাছে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে একজোট হয়ে বৈঠকে ডাকার অনুরোধ করেন তিনি৷ ওই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও থাকবেন বলে জানান৷
পেগাসাস ইস্যুতে বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন তৃণমূল সু্প্রিমো। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি স্পাইগিরি চালাচ্ছে। বলেন, “মন্ত্রী, আমলা, বিরোধীদের নেতা, বিচারপতিদের ফোনে আঁড়ি পাতা হচ্ছে৷ গণতন্ত্রকে ভালোবাসলে, প্রতিষ্ঠাতাদের ভালোবাসলে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিত না বিজেপি। নির্বাচন, সংবাদমাধ্যম এবং বিচার বিভাগ, গণতন্ত্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোই ভেঙে দিয়েছে৷”
তদন্ত রিপোর্ট কই ? কেন মমতা নীরব প্রশ্ন সিপিআইএমের
একুশের নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে খেলা হবে স্লোগান তুলেছিল তৃণমূল৷ তাতে শান দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন ১৬ আগস্ট খেলা হবে দিবস পালিত হবে। তিনি বলেন, “খেলা হয়েছে৷ আবার হবে৷ বিজেপি যতদিন থাকবে ততদিন রাজ্যে রাজ্যে খেলা হবে৷ বাংলায় খেলা দিবস তৈরি করব৷”
গণতন্ত্রকে বাঁচাতে ফের বিরোধীদের এককাট্টা হওয়ার ডাক দিয়ে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে বিচারবিভাগ৷ গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে দেশের মানুষ৷ আর গণতন্ত্রকে বাঁচাতে পারে দেশের বিরোধী দলগুলি৷ আবারও বলছি, আমাদের একজোট হতেই হবে৷ নইলে দেশের মানুষ ক্ষমা করবে না৷”
প্রধানমন্ত্রীর নাম করেই এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এজেন্সিকে দিয়ে বিরোধীদের বিরক্ত করেন৷ কালা কানুন তৈরি করেন৷ যত নীচে নামা সম্ভব আপনি নেমেছেন৷ বাংলার জনতা আপনাদের জবাব দিয়েছে৷ গোটা বিশ্ব বাংলার দিকে তাকিয়ে ছিল৷ বাংলার মানুষ উন্নয়ন চায়৷ তাই তারা আমাদের সুযোগ দিয়েছেন৷ বাংলার মানুষ উন্নতি, সম্প্রীতি চায়৷ কিন্তু বিজেপি হিংসা, দ্বন্দ্ব চায়৷ মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার আমাদের বিরক্ত করবেন না৷’