দিল্লি সফরের আগেই নবান্নে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক মমতার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: সোমবার বিকেলে রাজধানীতে যাওয়ার কর্মসূচি। তার আগেই মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার দুপুর একটায় নবান্নে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু তড়িঘড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফরের আগেই এই বৈঠক কেন? সেই প্রশ্নই আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রশাসনিক কর্তাদের ধারণা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী নিজের অনুপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার সদস্যদের প্রত্যেকে নিজ দায়িত্ব বোঝাতেই এই বৈঠক ডেকেছেন। গত বৃহস্পতিবারই নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা আবহে এমনিতেই মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের বৈঠক ডাকা হয় না।
সেদিনই নবান্নের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল পরবর্তী বৈঠক ২ আগস্ট। যদিও তার আগেই তড়িঘড়ি এই বৈঠকের কারণ কি? তা নিয়ে জল্পনা চলছেই।জানা গিয়েছে এই বৈঠকে মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের দিল্লি সফর নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ। ২৮ জুলাই দিল্লীর বঙ্গভবনে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয় এবারের কর্মসূচিতে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে তার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লী সফরে থাকছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ২১জুলাই রাতেই বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০২১ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কামব্যাক এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হয়ে গিয়েছেন একথা স্পষ্ট। একুশে জুলাই এর মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত ও বিজেপি দল গুলিকে একত্রিত হওয়ার বার্তাও দিয়েছিলেন।
এইসবের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবার সংসদীয় কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত করেছে দল। কাজেই কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে এবারের বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলোতে তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজিতে বদল আসছে তা একপ্রকার নিশ্চিত।
পেগাসাস ইস্যু থেকে পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি , কেন্দ্রের ভ্যাকসিন বন্টন নীতি সবমিলিয়ে বিজেপি প্যাঁচে ফেলতে ফেলতে মরিয়া শাসক শিবির।