একই উপভোক্তার নামে দুটি ঘরের আইডি, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হতেই তৃণমূল সিপিআইএম বচসায় আহত ২
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: একই উপভোক্তার নামে দুটি করে ঘরের আইডি। বিডিও অফিসে অভিযোগ করতেই শুরু তৃণমূল ও সিপিআইএম বচসা। আহত তৃণমূলের এক নেতা ও সিপিআইএম-র এক কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর গ্রামে।
আহত হয়েছেন তৃণমূল নেতা আনোয়ার কবির ও সিপিআইএম-র কর্মী সাদির হোসেন। আহত ২ জনকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।উভয় পক্ষই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
সুত্রের খবর, তৃণমূল নেতা আনোয়ার কবির ও উপভোক্তার একাংশ মিলে বৃহস্পতিবার বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ করেন। কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন, মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএম সদস্যা রবিনা খাতুন ও তার স্বামী গোলাম মোর্তুজা এবং নোডাল অফিসার মহম্মদ ইয়াসিনের নাম।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তদন্তে আসে যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।এদিন তদন্ত করে যাওয়ার পরই দুই দলের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বিডিওর নির্দেশ অমান্য করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় একই উপভোক্তার ডবল আইডিতে টাকা ঢোকানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
একই তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও প্রথম কিস্তির টাকা পর্যন্ত পায়নি অনেক উপভোক্তাই। তাই কিস্তির টাকা পাওয়ার দাবিতে এবং সরেজমিনে তদন্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার বিডিও দ্বারস্থ হয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর জিপির ভবানীপুর পূর্ব বুথের উপভোক্তারা।
যদিও অভিযুক্ত গোলাম মর্তুজা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ কিছুটা স্বীকার করে নিয়েছে। ২০১৪-১৫ সালের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা তালিকায় ভবানীপুর পূর্ব বুথে প্রায় ২০০ উপভোক্তার নাম রয়েছে।
ইতিমধ্যে বেশিরভাগই উপভোক্তারা তিনটি কিস্তির মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পেয়ে ঘর তুলে নিয়েছে। মাত্র হাতে গোনা ১০-১২ জন উপভোক্তারা প্রথম কিস্তির টাকা পায়নি। তাদের বঞ্চিত রেখে একই উপভোক্তার দ্বিতীয় আইডিতে টাকা ঢোকানোর জন্য রেজিস্ট্রেশন করে রেখেছে অভিযুক্তরা।
যদিও ফোন মারফত অভিযুক্ত নোডাল অফিসার মহম্মদ ইয়াসিন জানান পঞ্চায়েত সদস্যরা উপভোক্তাদের কাগজপত্র পত্রের ফাইল বানিয়ে পঞ্চায়েতে জমা দেয়। সঠিক তথ্য যাচাই করেই টাকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হয়। হয়তো ভুলবশত এই কাজ হয়ে গেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক বিডিও অনির্বাণ বসু জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট বেরিয়ে এলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।