দিল্লি পৌঁছেই হাওয়ালা-যোদ্ধা বিনীতকুমারের সঙ্গে বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্য প্রথম রাজ্যপাল সংঘাত প্রথম থেকেই অব্যাহত সম্প্রতি নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে রয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের নাম।
তারপরেই চরমে ওঠে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয় যদি রাজ্যপাল জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত না হন তাহলে তিনি তার প্রমাণ দিন।
তারপর সেই বিতর্কে জল পড়লেও সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে পা রাখার পর নতুন করে যেন আবার বিতর্ক তৈরি হয়ে গেল। জৈন হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে ৪২ জন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদের নাম জড়িয়েছে। তালিকার ৩০ নম্বরে নাম রয়েছে ধনখড়ের। এই নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন সাংবাদিক বিনীত কুমার।
সোমবার দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা রাখতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন সাংবাদিক বিনীতকুমার। দুজনের মধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেকের বৈঠক হয়। তবে এই বৈঠকের বিষয়বস্তু গোপন থেকে গেছে।
বিনীত কুমারের অভিযোগ ছিল জৈন ভাইদের উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে তৎকালীন প্রাক্তন মন্ত্রী ধনখড়ের নামে ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়টি লেখা ছিল। নৈতিকতার কারণে অবিলম্বে রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত।
মমতার ছোঁয়ায় সরগরম দিল্লি, মুকুল সাক্ষাতে সুনীল মন্ডল
যদিও রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন , ওই মামলায় তার নাম জড়ালেও বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তিনি। এরপরেই রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দ শেখর রায় প্রশ্ন তুলেছেন, নথিতে এই ধনখড় নামে ব্যাক্তিটি তাহলে কে, সেটা রাজ্যপালই জানান।’
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে কাশ্মীর থেকে এক হিজবুল জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আশফাক হুসেন লোন নামক সেই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, হাওয়ালার মাধ্যমেই টাকা আসত ওই জঙ্গি সংঘটনের হাতে।
আশফাক জানায়, সেই টাকা আসত, সুরেনদ্র কুমার জৈন নামক এক শিল্পপতির কাছ থেকে। এই হাওয়ালরা জৈনের আত্মীয়রাও জড়িত ছিলেন বলে জানা যায়। আশফাকের সেই বয়ানেই ভিত্তিতেই তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। খোঁজ মেলে জৈনের আরও দুটি নোটবুক। কবে কাকে কত টাকা দিয়েছে, তা সেখানে লিখে রেখেছিলেন জৈন।