জমি জটে মুক্তির ইঙ্গিত! ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজে গতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ আগামী চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে। মূলত জমি সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ওই প্রকল্পের জট ছাড়ার ইঙ্গিত মিলেছে সম্প্রতি।তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ওই রাস্তা সম্প্রসারণ এর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম লাইফ লাইন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক। এই রাস্তার দীর্ঘ অংশের হাল বেহাল হয়ে আছে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি জাতীয় সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ৫৫৪ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ অংশ কবে চার লেনের হবে তা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন।
এর মধ্যে ৩৮৬ কিমি অংশের রাস্তা চার লেনের হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ৷ বাকি ১৬৮ কিমি অংশের রাস্তা আগামী চার বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এই দীর্ঘ অংশে ফারাক্কা থেকে রায়গঞ্জের মধ্যে একটা বড় অংশের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। অবশ্য জানাচ্ছে বারাসাত থেকে কৃষ্ণনগর অংশে দীর্ঘ ৮৪ কিমি অংশে রাস্তা সম্প্রসারণ নিয়ে কাজ আটকে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে। প্রায় প্রতি বছর কয়েক দফা করে রাজ্যের সাথে বৈঠক হয়। কিন্তু জট কাটাতে যে দীর্ঘসূত্রিতা চলে আসছে তার জেরে কাজ ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে দু’বার ঠিকাদার সংস্থা বদলে গিয়েছে।
আইপ্যাকের সদস্যদের উদ্ধার করতে বুধের সকালে ত্রিপুরা পাড়ি ব্রাত্য- মলয়-ঋতব্রত-র
এখনও পর্যন্ত বারাসত থেকে বড়জাগুলি ১৭ কিমি অংশে উত্তর ২৪ পরগণা জেলায় জমি পুরোপুরি হাতে পায়নি ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়া (NHAI)৷ তাই এই অংশে রাস্তা সম্প্রসারণ কবে হবে কেউ জানে না।
এনএইচএআই’য়ের জেনারেল ম্যানেজার আরপি সিং জানিয়েছেন, “বড়জাগুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ৬৭ কিমি অংশে গত বছর থেকে চার লেনের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যে সব জায়গায় রাস্তা খারাপ হয়েছে, সেখানেও প্যাচ ওয়ার্কের কাজ সম্পূর্ণ করতে বলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, যে যে অংশে কাজ এখনও আটকে, তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর থেকে বহরমপুর৷ এই অংশে ১১ কিমি রাস্তার মধ্যে ৭ কিমি অংশে কাজ চলছে। যদিও বর্ষার জেরে কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে। ৪ কিমি অংশে কাজের জন্যে এখনও জমি মেলেনি।
ফলে এই অংশেও কাজ আটকে। এর পরের অংশ মালদহ পর্যন্ত কাজ আটকে বিভিন্ন জায়গায়। ফারাক্কাতে নয়া ব্রিজ ভেঙে পড়ার ফলে কাজ শুরু হয়নি৷ মালদহ বাইপাসে জমির সমweস্যার জন্যে কিছু কিছু জায়গায় কাজ আটকে। ঠিকাদারের সমস্যা হয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে জমি না মেলায় কাজ শুরু করতে পারেনি তারা৷
মালদহ থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত অংশে অবশ্য জমি মেলায় কাজ শেষ বলে জানাচ্ছে এনএইচএআই। ডালখোলা বাইপাসের কাজ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাবে। রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলার মধ্যে বাকি যে অংশ থেকে গেছে সেখানে কাজ শেষ হয়ে যাবে ২০২২ সালে। আরপি সিং জানিয়েছেন, “জমির সমস্যা না মিটলে আমাদের কিছু করার নেই৷ বারবার রাজ্যকে অনুরোধ করছি এই সমস্যা মেটানোর জন্যে। না হলে সমস্যায় পড়তে হবে সাধারণ মানুষকে।”