স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী বাছতে দ্রুত ত্রিপুরায় যাবেন মমতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: আগরতলা প্রেসক্লাবে টিএমসি প্রতিনিধিরা সাংবাদিক সম্নেলনে জানিয়েছেন, জলদি উত্তর পূর্বের এই বাংলাভাষী প্রধান রাজ্যে আসছেন টিএমসি নেত্রী। এই ঘোষণার পরেই ত্রিপুরা সরগরম। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, ত্রিপুরায় হাওয়ার বেগে সংগঠন তৈরি করবেন নাকি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিম নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
টিএমসি প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক ও টিএমসি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জী জানান ত্রিপুরায় রাজনৈতিক লড়াই শুরু হচ্ছে নতুনভাবে। কোনওভাবেই বামপন্থীরা আর এই রাজ্যের মানুষের আশা ভরসা হতে পারছেন না।
প্রাক্তন বামপন্থী যুব নেতা ও বর্তমান টিএমসি নেতা ঋতব্রত ব্যানার্জি বলেন, তিনি বাম রাজনীতি করার সময় বেশ কয়েকবার ত্রিপুরা এসেছিলেন। এবারের আসা সম্পূর্ণ ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থান থেকেই। তাঁর বক্তব্যে গত বিধানসভা ভোটের পর ত্রিপুরায় লেনিন মূর্তি ভেঙে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসে।
টিএমসি প্রতিনিধিরা জানান, ত্রিপুরাবাসী কে বিজেপির অপশাসন ও অগণতান্ত্রিক পরিবেশ থেকে মুক্তি দিতে কোনওভাবেই আর বামপন্থীরা নির্ভরযোগ্য নন। যতই তারা এখানে প্রধান বিরোধী দল হোক। এই প্রসঙ্গে টিএমসি প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বামপন্থীদের হতাশজনক ফল তুলে ধরেন।
রাজ্য সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন জহর সরকার
ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস যে সরাসরি নামছে, সেটি স্পষ্ট করেছেন দলটির প্রতিনিধিরা। তারা জানান, নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থী দিতে দলনেত্রী আগরতলায় আসবেন।
গত বিধানসভার আগে ততকালীন বিরোধী দল কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণের নেতৃত্বে বিধায়করা টিএমসিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই মুহূর্তেই টিএমসি হয়েছিল ত্রিপুরায় বিরোধী দল। পরে টিএমসি ভেঙে বিজেপিতে যান সুদীপবাবু ও তার অনুগামীরা। বিজেপি হয় বিরোধী দল। পরে নির্বাচনে তারা জোট সরকার গড়ে।
বর্তমানে রাজ্যে শাসক দলেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব কে ঘিরে বিদ্রোহ প্রবল। বহু বিধায়ক ফের টিএমসি তে ফিরবেন বলেই দাবি করেছেন প্রদেশ টিএমসি সভাপতি আশীষলাল সিংহ। প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম ও বিরোধী নেতা মানিক সরকার জানিয়েছেন, রাজ্যবাসী বিজেপির শাসন থেকে মুক্ত হয়ে ফের বাম সরকারকে নিতে প্রস্তুত।