করোনায় ভয়াবহ মৃত্যুর মাস জুলাই, বাংলাদেশের হাসপাতালে ঠাঁই নেই
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পর বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ তো দূরের কথা, জেনারেল বেড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরেও মিলছে না ঠাঁই। ছোট ছোট কয়েকটি হাসপাতালে কিছু শয্যা ফাঁকা থাকলেও তাতে রোগী ভর্তি হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার অন্যান্য হাসপাতালে খোঁজ নিয়েও দেখা গেছে, ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ গ্রাম থেকে আসা। এদের ৯০ শতাংশই টিকা নেননি। গ্রামে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুতরাং গ্রামে ব্যাপক টিকাদান শুরু করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। এরকম চলতে থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হলে আগামী ১০ দিনে করেনা আক্রান্ত সংখ্যা দেড় লাখ হবে। তাদের মধ্যে ১০ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়লে শয্যা দেওয়া সম্ভব হবে না। তখন ভারতের মতো অবস্থার সৃষ্টি হবে। রোগী বাড়লে চিকিৎসা না পেয়েই হয়তো মৃত্যুবরণ করতে হবে। কারণ, ইতোমধ্যে ৭৫ শতাংশের মতো শয্যা পূরণ হয়ে গেছে। রোগী বাড়তে থাকলে বাকি শয্যাও পূর্ণ হয়ে যাবে।
শুধু রাজধানী ঢাকা বা ঢাকা বিভাগ নয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট সব বিভাগেই করোনা সংমণ কেরবানির ঈদের পরে তীব্র আকার নিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি বিধিনিষেধ না মানার কারণেই এই সংক্রমণ গতি।
বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২০ হাজার ১৬ জন। জুলাই মাসেই করোনায় মোট মৃত্যুর শতকরা ২৫ ভাগ হয়েছে। এর আগে এক মাসে এতো মৃত্যু দেখেনি বাংলাদেশ।