গোপনে পর্ন ছবির এজেন্সি পরীমনির, Yaba মাদকের কারবার: ঢাকা পুলিশ
YaBa মাদক পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে অনবরত
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: যে মাদক থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গে ছড়িয়েছে, সেই ইয়াবার বিপুল সম্ভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি ঢাকার বাড়িতে। তিনি আটক।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তদন্তে উঠে আসছে পরীমনি শুধু মাদক কারবারে অভিযুক্ত নন তিনি পর্ন ছবির এজেন্সি চালাতেন। নিজেও নীল ছবির নায়িকা। এর জন্য পরী তার ঘনিষ্ঠ মডেলদের মাধ্যমে একটি চক্র গড়ে তোলেন। উঠতি মডেল এবং চিত্রনায়িকাদের পর্নছবি তুলে পাঠানো হতো হাই প্রোফাইলদের কাছে। তার মাধ্যমে অনেকে ব্ল্যাকমেলের শিকার হন।
পরীমনির ঘনিষ্ঠদের তালিকায় আছেন- পুলিশ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, আমলা, রাজনীতিবিদসহ অনেক প্রভাবশালী। এদের কেউ কেউ দেশের বাইরে পরীর সঙ্গে ঘুরতে যান। একটি বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তাকে হ্যারিয়ার গাড়ি উপহার দেন। সেই ব্যক্তিকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে। এছাড়া পরীর বেশ কয়েকটি
ঢাকায় বুধবার পুলিশ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) যৌথ অভিযান চালায় নায়িকা পরীমণির বাড়িতে। ঢাকার বনানী এলাকা অভিজাত। সেখানেই থাকেন পরীমনি। র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটানেন্ট কর্নেল খায়রুল ইসলাম জানান বলেন, পরীমনি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মডেল অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ মিলেছে।
সূত্র বলছে, কয়েকটি ব্যাংকে নায়িকার নামে মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশিরভাগই তিনি পেয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুবাদে। টাকার নেশায় পরীমণি পাগল। পর্নগ্রাফির নিষিদ্ধ জগতে একজন নজরকাড়া নাম।
বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি গত ১৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাঁকে ঢাকার উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরীমনির অভিযোগ, বাংলাদেশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
সেই মামলায় জেলে গিয়েছিলেন নাসির উদ্দিন মাহমুদ। তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েই পরীমনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান। এর মাঝে মাদক মজুত ও পর্ন ছবির ব্যবসায়ী হিসেবে পরীমনির নাম জুড়ল।
ঢাকা পুলিশের সূত্র বলছে, সিনেমা শুটিংয়ের আড়ালে পরীমনি মূলত প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ হতেই বেশি পছন্দ করতেন। পাঁচতারা হোটেল থেকে প্রতিদিনই গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন। পরীমনি ছাড়াও ঢাকার শোবিজ জগতের ডজনখানেক মডেল অভিনেত্রী পর্ন ব্যবসায় জড়িত।