বিকৃত যৌনাচার, নগ্ন ছবির কারবারে জড়িত পরীমনি, বাংলাদেশের প্রভাবশালী মহলে আতঙ্ক

টলিউডে পরীমনির 'বন্ধু' মহল নজরদারিতে

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: কান টানলেই মাথা আসে এই প্রবাদবাক্য সূত্রেই ঢাকা পুলিশের হাতে এখন এমন তথ্য যার জেরে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে আলোড়ন পড়েছে। বিকৃত যৌনাচার, মাদক কারবার, নগ্ন ছবির ব্যবসায় জড়িত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। তার সহযোগী বেশ কয়েকজন মডেল ও উঠতি অভিনেত্রীরা ধৃত। এর ফলে প্রভাবশালী মহলে আতঙ্ক। নিজেদের বাঁচাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে গোপনে এই প্রভাবশালীরা আবেদন করছেন।

অভিনেত্রী পরীমণি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে পর্ন ছবির ব্যবসা, ইয়াবা মাদক কারবার চালানো, বিদেশে হানি ট্রিপ ও ব্ল্যাকমেলিং কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে রিমান্ডে রেখেছে পুলিশ। পরীমনির এই পর্ন ছবির ব্যবসায় পশ্চিমবঙ্গের টলিউড চলচ্চিত্রের কেউ জড়িত কিনা সে বিষয়েও সূত্র খুঁজছে ঢাকা পুলিশ। পরীমনির সঙ্গে টলিউডের ‘বিরাট কানেকশন’ রয়েছে।

বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি গত ১৩ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন, তাঁকে ঢাকার উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়। পরীমনির অভিযোগ, বাংলাদেশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ নেতা ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি। সেই মামলায় নাসির উদ্দিনের জেল হয়। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। পরীমনির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান।

এদিকে পরীমনির ঢাকার বাড়িতে পুলিশ ও ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের যৌথ তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা মাদক, মদ, বিকৃত যৌনাচারের সামগ্রী, বিদেশী টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরীমনির বিরুদ্ধে নগ্ন ছবির ব্যবসার অভিযোগ এসেছে। পরীমনির সঙ্গে জড়িত একের পর এক মডেল ও অভিনেত্রীর নাম পাচ্ছে পুলিশ। আরও এক ডজন মডেল নজরদারিতে রয়েছেন। এদের নিয়েই বারবার বিদেশ যাওয়া অন্তত ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পেয়েছে পুলিশ।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির অবৈধ কাজের সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে রয়েছেন আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তাদের বেশিরভাগই বড়লোক এবং খারাপ প্রকৃতির মানুষ।

পরীমনির সঙ্গে উঠে এসেছে পিয়াসা ও মৌ নামে ঢাকার আরও দুই অভিনেত্রীর নাম। তাদের আরও কয়েকন সহযোগীও রয়েছে রিমান্ডে। জেরায় সোনা চোরাচালান, ব্ল্যাকমেলিং, মাদক ব্যবসা, জাল মুদ্রা তৈরি, বেআইনি অস্ত্র কারবার সহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথ অভিনেত্রী ও মডেলরা স্বীকার করেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট