BREAKING- ত্রিপুরায় জামিন পেলেন দেবাংশু-জয়া-সুদীপ সহ ১১ জন যুবনেতা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিনভর নাটকের পর অবশেষে রবিবার বিকেলে জামিন পেলেন গ্রেফতার হওয়া ১৪ জন যুবনেতা। ৫০ হাডার টাকার ব্যাক্তিগত বন্ডে জামিন পান তারা। ১৪ জন যুব নেতার জামিনের পর স্বস্তির শ্বাস বইছে ঘাসফুল শিবিরে।
ত্রিপুরায় থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানোয় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করেপুলিশ। শনিবার ধলাইয়ের আমবাসায় আক্রান্ত হন, যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা।
এরপরই নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থানে বসেন তাঁরা। রাতভর চলে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ।
ত্রিপুরায় বিজেপি বিরোধী তৃণমূল নাটকের চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে নাগপুরে: বিকাশ ভট্টাচার্য
শনিবার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক জখম নেতৃত্বের ছবিও পোস্ট করেন। তাতে দেখা যায় সুদীপ রাহার মাথা ফেটে গিয়েছে। জয়ারও গাল কেটে গিয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।
জানা যায়, এদিন ধর্মনগরে যাচ্ছিলেন দেবাংশু, সুদীপ, জয়া-সহ ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব।অভিযোগ, তখনই রাস্তায় তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। প্রথমে গাড়িতে ইট মারা হয়। এরপর লাঠি, রড দিয়ে হামলা করা হয় বলে।
সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি। ২০২৩-এর মার্চে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। হাতে এখনও দুই বছর সময় রয়েছে। ততদিন যে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত রোজ চলতে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেই সংঘাতে কে জিতবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পর ত্রিপুরায় ৫ দিনে ২ বার আক্রান্ত তৃণমূল। নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হন। আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের পাশে দাঁড়াতে সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছে যান ব্রাত্য বসু, দোলা সেন, কুণাল ঘোষরা।
তাঁদের অভিযোগ, বিজেপি ভয় পেয়েছে বলেই এই সব কাজ করছে। এমনকি তৃণমূল নেতারা যাতে কোনও হোটেল না পান, তার জন্যও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল সূত্রে খবর, গোটা পরিস্থিতি জানিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।