স্বাধীনতা দিবস বানচালে NlFT জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, ত্রিপুরায় সতর্কতা

সম্প্রতি বিচ্ছিন্নতাবাদী হামলায় ২ BSF জওয়ানের মৃত্যু হয়

দ্য কোয়ারি ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবস বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে উত্তর পূর্ব ভারতের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। অসম, ত্রিপুরা,মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ ও সিকিম সহ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশের জেলাগুলিতে সতর্কতা রয়েছে।

ত্রিপুরায় গত ৩ আগস্ট দেড় দশক বাদ আচমকা এনএলএফটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর হামলা হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্ত রেখার একেবারে গা ঘেঁষে বিচ্ছিন্নতাবাদী এই গোষ্ঠীর হামলায় দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ সময় পরে ফের সক্রিয় হয়েছ ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা সংগঠন। এদের দাবি স্বাধীন ত্রিপুরা। ১৯৪৯ সালে রাজন্য ত্রিপুরার ভারত অন্তর্ভুক্তির বিরোধিতা করে চরম বাঙালি বিদ্বেষী সশস্ত্র এই গোষ্ঠী।

বাংলাভাষী ও উপজাতি ত্রিপুরিদের নিয়ে চলা রাজ্যে নতুন করে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বেশ কয়েকমাস ধরেই বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন প্রতিবেশি দেশের গোপন ঘাঁটিতে এনএলএফটি সক্রিয়। বেশকিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী ধরা পড়ে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যে নতুন করে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি সক্রিয় হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানিয়েছেন কোনও অবস্থায় সশস্ত্র গোষ্ঠীকে রেয়াত করা হবে না। তবে তাঁর আমলেই এনএলএফটি ধলাই জেলায় হামলা করেছিল বিএসএফ জওয়ানদের উপরে। এতে বিব্রত ত্রিপুরার বিজেপি জোট সরকার।

বিরোধী দল সিপিআইএমের নেতা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার আসনই জানিয়েছেন, এনএলএফটি সক্রিয় হচ্ছে পার্বত্য এলাকার গ্রামে। গত বাম জমানায় এই সংগঠনের বিষ দাঁত ভেঙে দিয়েছিলেন মানিকবাবু।

আরও পড়ুন: জঙ্গি NLFT ও টাইগারের ‘বিষদাঁত’ ভাঙতে ৫৬ ইঞ্চি ছাতি লাগেনি মানিক সরকারের

এনএলএফটি সক্রিয় হলেও ত্রিপুরার অপর বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (এটিটিএফ) নিষ্ক্রিয়।

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে হয় তার জন্য আগরতলা, ধর্মনগরে জারি আছে বিশেষ সতর্কতা। উপজাতি স্বশাসিত এলাকার সদর দফতর খুমলুঙ সহ পার্বত্য ত্রিপুরার সবকটি জেলা সদর, মহকুমায় সতর্ক প্রশাসন।

সম্পর্কিত পোস্ট