কাবুলের অতি নিকটে তালিবান, নাজিবুল্লাহর মতো প্রেসিডেন্ট ঘানিকে খুন করবে জঙ্গিরা?
১৯৯৬ সালের পর ফের কাবুল ঘিরে তালিবান অট্টহাসি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: রাতভর ভয়াবহ পরিস্থিতি আফগানিস্তানের রাজধানীতে। ভোর হতেই পরিস্থিতি আরও খারাপ। আল জাজিরা জানাচ্ছে, সরকারের শেষ শক্ত ঘাঁটি মাজার ই শরিফ দখল নিয়েছে জঙ্গিরা। সেখান থেকে সরে গিয়েছেন তালিবান বিরোধী রুশ কমিউনিস্ট পার্টির ঘনিষ্ঠ মার্শাল আব্দুল রশিদ দোস্তাম। তিনি ফের গেরিলা হামলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দোস্তামের সরে যাওয়ার পরেই মাজার ই শরিফের পতন হয়। পুরো আফগানিস্তানে একমাত্র এখানেই সরকারের সেনা ও দোস্তামের গণ মিলিশিয়া বাহিনি তালিবানদের বিরুদ্ধে শক্ত লড়াই চালাচ্ছিল।
উত্তর আফগানিস্তানের মাজার ই শরিফের পতনের পরেই আফগান রাজধানী কাবুলের প্রশাসন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে কোনও সময় তালিবান জঙ্গিরা কাবুল দখল করবে। প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি রাতভর বিশেষ বৈঠক করেছেন। তাঁর মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে বৈঠকে স্থির হয়েছে তালিবানদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। আফগান সরকার সন্ধি করবে বলেই জানাচ্ছে কাবুলের সংবাদমাধ্যম।
তালিবানের দখলে কাবুল চলে গেলে কী হবে? প্রেসিডেন্ট ঘানি কে খুন করবে তালিবান জঙ্গিরা? ১৯৯৬ সালে যখন প্রথমবার তালিবান দখল নিয়েছিল আফগানিস্তান। তখন ততকালীন কমিউনিস্ট মনোভাবাপন্ন প্রেসিডেন্ট ডক্টর মহম্মদ নাজিবুল্লাহকে প্রকাশ্যে খুন করে জঙ্গিরা।
বিবিসি জানাচ্ছে, ফের আফগানিস্তানে তৈরি হতে চলেছে ভয়াবহ তালিবান সরকার। ১৯৯৬ সালের পর আবার এই দেশ নিচ্ছে জঙ্গিদের হাতে মাথা কাটার সরকার। আফগান রাজধানী কাবুল থেকে অল্প দূরে রয়েছে তালিবান বাহিনি।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, কাবুল জুড়ে প্রবল আতঙ্ক। সরকারি আফগান সেনা পালাচ্ছে। রাজধানী কাবুলের থেকে মাত্র তিরিশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে তালিবান। যে কোনও মুহূর্তে আফগানিস্তান সরকারের পতন হবে।
এদিকে কাবুলে থাকা জনগণ তো বটেই বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ত্রস্ত। মার্কিন নাগরিকদের সরাতে বিশেষ বাহিনি পাঠিয়েছে সে দেশের সরকার। ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ। কাবুলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। কোনওরকমে জঙ্গিদের ঠেকিয়ে রেখে বিদেশি নাগরিকদের সরানোর কাজ চলছে।