চেরিস্টারফিল্ডের হত্যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত শিলং, বদলার হুঁশিয়ারী HNLC সংগঠনের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্বাধীনতা দিবসের রাতেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল শিলং। ইস্তফা দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাখমেন রিম্বুই। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয় মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সংমার বাসভবনে। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
HNLC সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেরিস্টারফিল্ড আত্মসমর্পণ করেছিলেন মেঘালয় পুলিশের কাছে। ভোর রাতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাকে হত্যা করে মেঘালয় পুলিশ। এই ঘটনায় শাসক-বিরোধী উভয় দলই কাঠ গড়ায় তুলেছে পুলিশকে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
এদিন বিরাট কনভয় শহর করার পর এই উত্তেজনার সূত্রপাত। মাওলাই বাইপাসে পুলিশের গাড়ি ও অস্ত্র কেড়ে নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়ায় চেরিস্টারফিল্ডের অনুগামীরা। পাথর ছোঁড়া হয় বহু ট্রাক এবং গাড়িতে। গুয়াহাটি শিলং রোগে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে।
পরিস্থিতি সামলাতে আজ সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত একাধিক এলাকায় কারফিউ জারি করেছেন জেলাশাসক। বন্ধ থাকছে যানচলাচল ও দোকানপাট। এমনকি পূর্ব-পশ্চিম খাসি হিলস ও দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিল ও রি-ভয় জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
Welcome To Afghanistan ! মাথা কেটে নেওয়া তালিবান সরকারের প্রথম দিন
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শিলং বিস্ফোরণের তদন্তের সূত্রেই চেরিস্টারফিল্ডের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। তাকে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ। পুলিশের তরফে দাবি করা হয় ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেছিলেন চেরিস্টারফিল্ড।
চেরিস্টারফিল্ডের পরিবারের দাবি, কিডনির কঠিন রোগে শয্যাশায়ী তিনি। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটতেই পারেন না। তার একটি হাতও অবশ। পরিবারের তরফে আরও অভিযোগ করা হয়, চেরিস্টারফিল্ডকে গুলি করার দুঘণ্টা পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে তিনি মারা গিয়েছেন। তার বড় ছেলে ও মেজ ছেলেকে চেরিস্টারফিল্ডের দেহরক্ষী সন্দেহে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিরোধীদের দাবি, চেরিস্টারফিল্ডকে হত্যা করে গোয়েন্দা বিভাগের ব্যর্থতা ঢাকতে চেয়েছে পুলিশ। ঘটনার দায় নিয়ে রাতেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সংঘর্ষ নিয়ে পুলিশের রিপোর্টে অসন্তোষজনক প্রকাশ করেছে। মুখ্য সচিবকে ১৫ দিনের মধ্যে বিশদ জানাতে বলা হয়েছে।