দেরাদুন মিলিটারি অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষিত সেনা স্তানিকজাই ফের তালিবান সরকারের মন্ত্রী হবে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ১৯৮২ সালের আইএমএ দেরাদুনের নথি বলছে সেখানে সেনা অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষিত হয়েছিল শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই। যে প্রথম তালিবান সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী। আর দ্বিতীয় তালিবান সরকারের গুরুত্ব পদে বসতে চলেছে।
আইএমএ দেরাদুন নথি বলছে, ভারত ও আফগান সরকারের মৈত্রী অনুসারে স্তানিকজাই এসেছিল সেনা অফিসারের ট্রেনিং নিতে। বন্ধুদের কাছে শেরু নামে পরিচিত ছিল।
ফের আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান জঙ্গি সংগঠন। আফগান প্রেসিডেন্ট হতে চলেছে তালিবানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা বর্তমান উপপ্রধান মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। দ্বিতীয় দফার এই তালিবান সরকারের অন্যতম আলোচিত নেতা স্তানিকজাই। ১৯৯৬-২০০১ প্রথম তালিবান সরকারের আমলে জঙ্গি নেতা ছিল আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়া টুডে, ইকোনোমিক্স টাইম সহ বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদপত্র স্তানিকজাই সম্পর্কে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কোর্স শেষে স্তানিকজাই আফগানিস্তানে ফিরে যায়। দেশের ন্যাশনাল আর্মিতে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেয়। পরে সেনাবাহিনি ছেড়ে জঙ্গি হয়।
তখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রক ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সোভিয়েত বিরোধী সংঘর্ষ চলছিল। তাতে মদত দেয় আমেরিকা। সোভিয়েত বিরোধী মুজাহিদিন গোষ্ঠিতে নাম লেখায়। পরবর্তীতে তালিবান জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম নেতা হয় স্তানিকজাই।
তালিবান শাসিত আফগানিদের নিরাপদ রাখতে ফেসবুক নামল যুদ্ধে
নববই দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনা প্রত্যাহার হয়। ১৯৯৬ সালে দেশটির দখল নেয় তালিবান। কাবুলে প্রকাশ্যে খুন করা হয় সেভিয়েত অনুরাগী প্রেসিডেন্ট ডক্টর মহম্মদ নাজিবুল্লাহকে। তালিবান হামলার সেই ভয়াবহ ছবি দেখেছিল দুনিয়া।
২০০১ সালে মার্কিন সেনা আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করলে তালিবান সরকারের পতন হয়। উপপ্রধানমন্ত্রী শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই পালায়। তারপর গত প্রায় এক দশক ধরে কাতারের রাজধানী দোহায় বসবাস করছে এই জঙ্গি নেতা।
২০১৫ সালে দোহা শহরে তালিবান তাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেয় স্তানিকজাইকে। তালিবানের হয়ে আফগান সরকারের সাথে আলোচনায় অংশ নেয় স্তানিকজাই।