কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণে নিহত ১৩ মার্কিন সেনা, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগেই সর্তকতা জারি করেছিলেন গোয়েন্দারা। তারপরেই ঘটে গেল জোড়া বিস্ফোরণ। বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ছড়িয়েছে আশঙ্কা। তালিবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানকে আইসিস জঙ্গিদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র?এখন এই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র।

কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। ২০১১ সালের পর এই প্রথম আফগানিস্থানে একই দিনে এত জন সেনার মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কূটনৈতিক মহলে।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনার দায় নিয়েছে ইসলামিক স্টেট। তালিবান আগেই বিবৃতিতে দাবি করেছিল এই হামলা আইএস এর কাজ।  বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধে ছটা নাগাদ  বিমানবন্দরে  পরপর দুটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে শিশুসহ ১০০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ১৫০ জনের বেশি।

তালিবান কাবুল কব্জা করায় আইসিস আদৌ খুশি নয়। গতবছর তালিবানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল আমেরিকার। তাতেই অসন্তুষ্ট হয় আইসিস। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি করে তালিবান জিহাদিদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। সম্প্রতি এমনই ঘোষণা করেছে আইসিস।

বিস্ফোরণের পর যে ছবি দেখা গিয়েছে বিমানবন্দরের বাইরে তাতে আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্ব জুড়ে। রক্তবন্যায় ভেসে গিয়েছে সারি সারি ছিন্নভিন্ন দেহ।বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে বিস্ফোরণ হয়েছে অন্তত ৬টি। গুলির লড়াইও চলছে বলে খবর।

প্রথম বিস্ফোরণটি হয় হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘অ্যাবি গেটের’ সামনে। এই গেট দিয়েই এখন বিমানবন্দরের ভিতরে ঢুকছেন দেশ ছাড়ার অনুমতি পাওয়া মানুষেরা।

দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়েছে বিমানবন্দরের খুব কাছেই ব্যারন হোটেলের সামনে। এই হোটেলে এখন ব্রিটিশ নাগরিকেরা রয়েছেন। বিমানবন্দরের সামনে বিস্ফোরণের পরে একাধিক দুষ্কৃতী সেখানে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তাতেও অনেকে জখম হন বলে খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট