আগরতলায় ধুন্ধুমার, তৃণমূল ছাত্রী সমর্থককে অপহরণের অভিযোগ, সংঘর্ষ
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস এখনও কোনও রাজনৈতিক শক্তি নয়। তবে তাদের সমর্থন বাড়ছে বলে রাজ্যেরই গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে। শুক্রবার শাসক বিজেপি ও সদ্য রাজ্যে আসর জমাতে চাওয়া তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ছবিটা বলছে আসন্ন পুরনিগমের ভোট সংঘাতপূর্ণ হবে। কারণ গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে, প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএমের সমর্থন তেমন ভাঙছেনা।
শুক্রবার আগরতলায় মোদী বনাম মমতা সমর্থকদের সংঘাতের কেন্দ্র মহারাজা বীর বিক্রম কলেজ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, তাদের সংগঠনের সদস্য এক ছাত্রীকে অপহরণ করে বিজেপির এবিভিপি সদস্যরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কলেজ চত্বরে। পুলিশ দ্রুত যায় ঘটনাস্থলে।
পুলিশের সামনেই দুপক্ষ পরস্পরের উপর হামলা করে। পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হন। এক বিজেপি ছাত্র নেতাকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আরও বাড়ে। উত্তেজনা আরও ছড়ায়।
আগামী ২৮ আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মসূচি রয়েছে। এই কর্মসূচিতে যোগদানের লক্ষ্যে কলেজে প্রচার চালাচ্ছিলেন সোলাঙ্কি সেনগুপ্ত নামে এক ছাত্রী।
অভিযোগ, কলেজের এবিভিপি সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে তাকে আটক করে। এক সময় তাকে অন্যত্র তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়ে।
সদর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ড. রমেশ যাদবের সাথে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে এভিভিপি সমর্থক। মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক তার গালে চড় মারেন। এতে বিতর্ক আরও বেড়েছে।
তবে কলেজে টিএমসিপির কোনও সংগঠন নেই। কী করে একসঙ্গে এতজন টিএমসিপি সমর্থক চলে এলো কলেজে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবিভিপি নেতৃত্ব। তবে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এর ছাত্র ছাত্রীরা উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে বলেও অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে সেই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে।