বিশ্বভারতী নিয়ে কড়া হাইকোর্ট, উপাচার্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ পুলিশকে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গেটের বাইরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। এবার সেই আন্দোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মানথা।
বিচারপতি রাজশেখর জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে কোন বিক্ষোভ আন্দোলন করা যাবে না। শুক্রবার দুপুর তিনটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর থেকে সমস্ত ব্যানার-ফেস্টুন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের তরফে।
একইসঙ্গে উপাচার্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। উপাচার্যের বাসভবন সহ যেখানে যেখানে বিক্ষোভের কারণে তালা ঝোলানো হয়েছে সেই সমস্ত তালা শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
তবে এদিন ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর গেটে তালা বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা লাগায়নি কর্তৃপক্ষ সেখানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর কর্মসংস্কৃতি নষ্ট করা তাদের কাজ নয় উপাচার্যের পদত্যাগ এবং তিন ছাত্র ছাত্রীর উপর থেকে বহিষ্কারের ফতোয়া প্রত্যাহার।
ফার্মাসিস্টের জাল নথি জমা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগে, বারাসাতে গ্রেফতার ৪ ভুয়ো ফার্মাসিস্ট
হাইকোর্টের নির্দেশ, পুলিশকে তার কাজে বাধা দেওয়া যাবে না। বিশ্বভারতীর ভিতর কর্মী বা শিক্ষককে প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোন বাধা দেওয়া যাবে না। যত সিসিটিভি রয়েছে অবিলম্বে সেই সমস্ত সিসিটিভি কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
শুধু তাই নয় আদালতের নির্দেশ কতটা কার্যকর হল, আগামী বুধবারের মধ্যে সরকারপক্ষ এবং রেজিস্টার জেনারেলকে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীরা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশের কপি তারা হাতে পাননি। নির্দেশ নামা হতে পাওয়া মাত্রই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তারা। প্রসঙ্গত দিন কয়েক পরে বিশ্বভারতী চত্বরে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় নিরাপত্তা চেয়ে শান্তিনিকেতন থানায় আবেদন জানিয়েছিলেন উপাচার্য। পাল্টা
উল্লেখ্য এদিন হাইকোর্টের তরফে রীতিমতো তিরস্কার করা হয়েছে, ছাত্র আন্দোলনের এই অচলাবস্থাকে। বিচারপতি জানান ছাত্র আন্দোলন আর শ্রমিক আন্দোলন কখনই এক নয়। যে অচলাবস্থা বিশ্বভারতীতে তৈরি হয়েছে অবিলম্বে তা মেটাতে হবে। অন্যথায় পরবর্তীতে আরো কড়া পদক্ষেপ নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।