কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবানের অবস্থান নিয়ে শঙ্কায় কূটনৈতিক মহল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সরে যাওয়া ভারত এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলির কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেইসঙ্গে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা নিয়ে।

চীন-পাকিস্তান-ইরান ইতিমধ্যেই তালিবান কে সমর্থন করলেও স্বীকৃতি দেয়নি কেউই। মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রভাব শেষ হওয়ার পর কূটনৈতিক সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়াবে তা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে বেজিং-ইসলামাবাদ।

কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবানরা দ্বিধাবিভক্ত। অনেকেই বলছেন কাশ্মীরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না তালিবান। আবার পরক্ষণেই উল্টো কথা শোনা যাচ্ছে তালিবান শিবির থেকে। জঙ্গী সংগঠনের অন্যতম মুখপাত্র সোহেল শাহিন জোর গলায় বলছেন কাশ্মীরের মুসলিমদের বিষয়ে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে।

তবে তালিবানের শীর্ষ নেতা আনাস হাক্কানী আগেই জানিয়েছিলেন, কাশ্মীরের বিষয় তারা নাক গলাবেন না । শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছিলেন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলবে আফগানিস্তান।

তবে সোহেল শাহীন এদিন জানান, মুসলিম হিসাবে তাদের অধিকার রয়েছে কাশ্মীর এবং অন্যান্য দেশের মুসলিমদের বিষয়ে কথা বলার। সেই হিসেবে অন্যান্য দেশের মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলার অধিকার তাদের রয়েছে।

দার্জিলিং চায়ে ভেজাল ! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ ব্যবসায়ী সংগঠন

প্রসঙ্গত আফগানিস্তানে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা ছিল আফগান ভূমি কে ব্যবহার করে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের বীজ বপন করতে পারে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলি।

তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের রাষ্ট্রদূত এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তবে সেই বৈঠকের পর তালিবানরা সাফ জানিয়ে দেয় ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে মাথা ঘামাবে না তালিবান।

কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন কাশ্মীর ইস্যুতে তালিবানরা কট্টর অবস্থান নিলে ভারতের জন্য তার চিন্তার কারন হতে পারে। সেক্ষেত্রে আফগানভূমিকে ব্যবহার করে কাশ্মীরে নাশকতামূলক কাজকর্ম আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে জঙ্গীরা।

সম্পর্কিত পোস্ট