রাজ্যপাল বনাম অধ্যক্ষের সংঘাত প্রথমবার চাক্ষুস করল রাজ্যবাসী, নয়া ইতিহাসের ইঙ্গিত
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিবাদ সর্বজনবিদিত। কথায় কথায় রাজ্য সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে টুইট করে আক্রমণ করতে ছাড়েন না তিনি।পাল্টা আক্রমণ রাজ্য সরকারও করেছে। ফলে সাংবিধানিক প্রধান বনাম প্রশাসনিক প্রধানের লড়াই রাজ্য রাজনীতি শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে।
কিন্তু এবারের লড়াইটা একটু ভিন্ন স্বাদের। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে একটি চিঠি দিয়েছেন তাতে তিনি বলেছেন বিধানসভার গরিমা অহেতুক যেন রাজ্যপাল নষ্ট না করেন। কারণ বিধানসভার গরিমা ও গণতন্ত্র কোনভাবেই যাতে অক্ষুন্ন না হয় তার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
লড়াইটা হল পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে মুকুল রায়কে নিয়োগ নিয়ে। যে বিবাদ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে। ঠিক সেই সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদে মুকুল রায়কে বসানো ঠিক হয়নি, এইরকমই একটি মন্তব্য পূর্ণ চিঠি অধ্যক্ষের কাছে পাঠান। আর এতেই চটেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিমান বাবুর বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গে বিগত দিনে অনেক রাজ্যপাল এই রাজ্যে সম্মানের সঙ্গে এবং সরকারের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে কাজ করে গেছেন। যা আজও বাংলার মানুষ মনে রেখেছেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল যেভাবে বিধানসভার গরিমা নষ্ট করতে চাইছেন তাতে বিধানসভা পরিষদের ইতিহাস লুণ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তাই অধ্যক্ষের পরামর্শ, অহেতুক বিধানসভার কার্যপ্রণালীর ক্ষেত্রে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ যেন না করেন। কারণ তাকে মনে রাখতে হবে তিনি এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তার একটা সম্মান আছে। অতএব ভবিষ্যতে বিধানসভাকে আক্রমণ করতে গেলে রাজ্যপালের উচিত সঠিকভাবে তথ্য নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা। এতে বিধানসভার পরিষদীয় রীতির পক্ষে তা হবে সম্মানের। যেকোনো সময় রাজ্যপাল মহোদয় তাঁর পরামর্শ দিতেই পারেন। কিন্তু সেই পরামর্শ যেন গঠনমূলক হয়।
এই প্রথম রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সংঘাত প্রকাশ্যে এল। এখন দেখার এই সংঘাত বাড়ে না কমে। তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে।