ন্যায্যমূল্যের রাসায়নিক সার বেশি দামে নেওয়ার অভিযোগ, শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগে সরব বিজেপি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সরকারি ন্যায্যমূল্যের রাসায়নিক সার বেশি দামে নেওয়ার অভিযোগ কৃষকদের। চাষীদের অভিযোগ বাড়তি টাকা যাচ্ছে কোথায়? গোঘাটের বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ কাটমানি নেওয়া হচ্ছে চাষীদের কাছ থেকে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। একইসঙ্গে যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।

রাসায়নিক সারের দরকারি মূল্য ১২০০ টাকা। রসিদও দেওয়া হচ্ছে তাই। কিন্তু দিতে বলা হচ্ছে ১৩৬০ টাকা। বাড়তি এই ১৬০ টাকা কেন দিতে হবে প্রশ্ন করলেই রসিদ নিয়ে সার না দিয়ে টাকা ফেরৎ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে এলাকার চাষিদের। কিন্তু কেন সরকারি ভাবে এই বাড়তি টাকা নিয়েও রসিদ দেওয়া হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার চাষিরা।

এমনই ঘটনা ঘটেছে গোঘাটের কুমুরসা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে। এলাকার কৃষকরা সমবায় সমিতির সামনে বিক্ষোভ দেখান। চাষিদের ফেরৎ পাঠানোয় তারাও ক্ষুব্ধ হন। তারা গোঘাট বিডিও ও থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।

লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকার এই সমস্ত চাষিরা। এই ঘটনায় কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল ব্লক সভাপতি নারায়ন চন্দ্র পাঁজা কাটমানির কথা অস্বীকার করেছেন।

ভবানীপুরে মমতার মুুখোমুখি বিজেপির বাজি প্রিয়াঙ্কা

গোঘাট ১নং বিডিও সুরশ্রী পাল বলেছেন মোটেই এরকম হওয়া উচিত নয়। তবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।

গোঘাটের কুমুরসা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি থেকে সার কিনতে যাচ্ছেন এলাকার চাষিরা। কিন্তু সরকারি দর যা,তার থেকে বাড়তি আরোও টাকা নেওয়া হলেও তার কোন রসিদ দেওয়া হচ্ছে না।চাষিরা বার্তি টাকা না দিতে চাইলে তাদের সার দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চাষিরা।

তাই সুবিচার চাইতে তারা গোঘাট থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় । পরে চাষীরা গোঘাট ১ নং বিডিও দ্বারস্থ হন। যদি কৃষকদের অভিযোগ গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে থানা কোন অভিযোগ নেয়নি। যদিও সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির সদস্যরা ও ম্যানেজার ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি।

সম্পর্কিত পোস্ট