‘বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচাগ্র মেদিনী’; ভবানীপুরে মমতাকে রুখতে একগুচ্ছ পরিকল্পনায় অর্জুন-সৌমিত্র
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভবানীপুর উপনির্বাচনে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ গেরুয়া শিবির। আজ হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে ভবানীপুরের রণনীতি বাতলাতে বৈঠকে বসে ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্জুন সিং, সৌমিত্র খাঁ সহ ভবানীপুরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এবং একগুচ্ছ উল্লেখযোগ্য নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ভবানীপুরের যে ওয়ার্ডগুলিতে পিছিয়ে ছিল সেই এলাকাগুলিকেই এবারে টার্গেট করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রার্থী ছাড়াও, মাঝেমধ্যেই হাজির হতে বলা হয়েছে নেতৃত্বদের।
প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে প্রচারে জোর দেওয়ার চিন্তাভাবনাও নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে সব বুথেই দুজন করে এজেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত।
যদি একজন এজেন্টকে ভয় দেখিয়ে কেউ তুলে নিয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে অন্য আরেকজনকে স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে।
আচমকা ইস্তফা রুপানির, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী পদে এগিয়ে নীতিন প্যাটেল
একইসঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পোস্টার এবং ব্যানারে গোটা এলাকা ছেয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো তৃণমূলের কর্মী বিজেপির পতাকা বা ব্যানার ছিঁড়ে দেয়, সেক্ষেত্রে ওই এলাকায় ব্যানার দ্রুত লাগিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রুখতে ঘাসফুলের চালেই বাজিমাত করতে মরিয়া পদ্ম শিবির। ভবানীপুরের পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তনরাই।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে অনভিজ্ঞ প্রার্থী দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই কার্যত চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির । একই সঙ্গে তারা মনে করিয়ে দিতে চাইছে প্রার্থী অনভিজ্ঞ হলেও পিছন থেকে ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছেন অভিজ্ঞ নেতৃত্বরা। সুতরাং স্পষ্ট ভবানীপুরে লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে ।