পঞ্চায়েতের উপর ভরসা হারিয়ে বাঁশ বিছিয়ে গ্রামবাসীরাই তৈরী করছেন চলাচলের রাস্তা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পঞ্চায়েতের উপর ভরসা হারিয়ে মাটির রাস্তায় বাঁশ বিছিয়ে গ্রামের রাস্তায় চলাফেরা করে জলঘর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা। জানা গেছে, বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই এক হাঁটু কাদা রাস্তা জুড়ে। চলাচল করাই কষ্টকর হয়ে ওঠে।  সাইকেল, মটর সাইকেল বা পায়ে হেঁটে যাওয়া কার্যত মুস্কিল হয়ে ওঠে।

রাস্তার দু’ধারের বাসিন্দাদের বর্ষায় দুর্দশার অন্ত নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর পঞ্চায়েতের আদিবাসী পাড়ার প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এলাকায় অন্তত হাজার মানুষ বসবাস করে। তাদের যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তার বর্ষাকালে এই অবস্থা থাকায় দুর্দশা চরমে।

স্কুলের ছাত্র ছাত্রী , গ্রামবাসীদের হাটের রাস্তা বা বালুরঘাট যাওয়ার মেনরোডে যেতে হলে ওই একটাই রাস্তা। বর্ষার শুরু থেকেই গ্রামে টোটো, অটো, অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি ঢোকে না। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে আবেদন করলেও কাজ হয়নি।

বৈদ্যুতিন গাড়িকে গুরুত্ব , বিশ্ব মঞ্চে প্রশংসিত রাজ্য সরকার

এমত অবস্থায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর ভরসা না রেখে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্দোগে গ্রামের বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে মাটির উপর বিছিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে কাদার উপর দিয়ে প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা তৈরি করেছে।

গ্রামের বাসিন্দা ভোলা মুর্মু, সেফালি ওড়াঁও, বুধন টুডুরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন পঞ্চায়েতে কতবার বলা হয়েছে। জানে আমাদের দুর্দশার কথা।  কিন্তু আমাদের গ্রামের এই এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটা আর পাকা হয়না।

প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ আছে। সপ্তাহখানেক আগে রাস্তার দাবিতে তালাও ঝুলিয়েছিল পঞ্চায়েতে গ্রামেরই বাসিন্দারা।

এদিন আদিবাসী পাড়ার মঙ্গল টুডু বলেন এবার বর্ষায় রাস্তার অবস্থা এত খারাপ হয়েগেল যে বাড়ি থেকে মানুষ বের হতে পারছেনা। তখন আমরা গ্রামের সমস্ত মহিলা পুরুষ একত্রিত হয়ে বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে কাদার উপর বিছিয়ে আপাতত যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছি।

তিনি বলেন আমরা বিডিও অফিসেও লিখিত আবেদন করেছি কয়েকবার, শুধু বলা হচ্ছে রাস্তা হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাস্তার কোন মাপযোগ করাও হয়নি। গ্রামের মানুষরা মিলে ঠিক করা হয়েছে এবার জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও করা হবে রাস্তার জন্য।

সম্পর্কিত পোস্ট