চলতি মাসেই ‘হাত’ ধরতে পারেন কানহাইয়া ও জিগনেশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আফজল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কানহাইয়া কুমার। গ্রেফতার হয়েছিলেন দেশদ্রোহিতার অভিযোগে। সিপিআই-র এই যুবনেতা অচিরেই রাজনীতিতে তরুণ প্রজন্মের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে এতদিন বামপন্থার নীতিতে চললেও এবার হাতে ‘হা’ত মেলানোর কথাও ভাবছেন তিনি।

বিষয়টি নিয়ে এতদিন জল্পনা মনে হলেও সম্প্রতি কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর কানহাইয়ার দলত্যাগ যেন সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিলে যুবসমাজকে টার্গেট করে অচিরেই গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে তুলতে পারবে প্রাচীন রাজনৈতিক দলটি। পাশাপাশি এও শোনা যাচ্ছে CPI সূত্রে, সেখানে মানিয়ে নিতে পারছেন না কানহাইয়া।

কংগ্রেস সূত্রে খবর, কানহাইয়া বিহারের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মুখ। তিন দশক ধরে বিহারে ক্রমশই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে কংগ্রেস। গতবছর বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি ও সি পি আই(এম এল) জোটং ৭০ টি আসনে লড়াই করেছিল কংগ্রেস।

মাত্র ১৯ টি আসন জিততে পেরেছিল তারা। এই মুহূর্তে কানাইয়া যোগ দিলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক দিক থেকে বিহারের মাটিতে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে কংগ্রেস।

তবে কানহাইয়া কুমার একা নয়। গুজরাটের ভাদগামের বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনে পাতিদার সম্প্রদায়ের নেতা জিগনেশের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। সেই সমঝোতা থেকেই দলবদলে জল্পনা শুরু। চলতি মাসে হয়তো কানহাইয়ার সঙ্গেই হাতে হাত ধরতে পারেন জিগনেশ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে কংগ্রেসে যুব নেতার অভাব। এই দুই তরুণ নেতা কংগ্রেসে যোগদান করলে সেই শুন্য পদ গুলি অচিরেই পূর্ণ হবে। সেইসঙ্গে এই দুই নেতার ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতার বিরাট হওয়ায় মানুষের মনে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে কংগ্রেস।

সুস্মিতা দেব এবং প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী, জিতীন প্রসাদ, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলত্যাগের পর কংগ্রেসের যুব সমাজের কাছে পৌঁছানো কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মনে করা হচ্ছে কানহাইয়া এবং জিগনেশের হাত ধরেই হয়তো নতুন করে বদলে যেতে পারে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ধারাপাত।

সম্পর্কিত পোস্ট