অভিষেকের হাত থেকে নিলেন পতাকা, তৃণমূলে বাবুল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে বাদ গিয়েছিলেন বাবুল। সেসময় তিনি রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলেন। এরপর দিন কয়েক বাদেই তিনি বিজেপি ছেড়ে দেন। তারপর থেকেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা উঠতে শুরু করে, তাহলে এবার কি তৃণমূলের পথে পা বাড়াতে শুরু করলেন বাবুল সুপ্রিয়?

তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে দলত্যাগের হিড়িক ভারতীয় জনতা পার্টি দেখিয়েছিল এবার তারা দেখতে পাবে তৃণমূলে যোগদান মেলা। আরো অনেকেই লাইন দিয়ে রয়েছেন ক্রমশ প্রকাশ্য।

২০১৫ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঝাল মুড়ি খেয়ে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল থেকে বিজেপি সাংসদ হিসেবে জয়ী হন তিনি।

গত বিধানসভা নির্বাচনে আসানসোলের দাপুটে তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে এমন জল্পনা উঠতেই প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন বাবুল। সেসময় বিরোধিতা করে দলের তোপের মুখে পড়েছিলেন। তারপর অবশ্য পরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি যোগদান করেন তৃণমূলে।

সেসময় জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে যোগ দেওয়া ভালোভাবে নেননি বাবুল সুপ্রিয়। একথা সাংসদ ঘনিষ্ঠ অনেকেই স্বীকার করে নিয়েছিলেন।  তারপর থেকে ক্রমে বাড়তে থাকে দূরত্ব।

বিজেপি নেতৃত্বদের একাংশ অবশ্য বলছেন, সাংগঠনিক দিক থেকে দলের কাজে বাবুল সুপ্রিয়র কোনো অবদান ছিল না। তিনি দিল্লীতে থাকতেন বেশিরভাগ সময়। মাঝেমধ্যে আসতেন আসানসোলে।

২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে টলিগঞ্জ থেকে তিনি বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু অরুপ বিশ্বাসের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান। তারপর থেকে ক্রমেই বিজেপির কার্যক্রমে দেখা যাচ্ছিল না বাবুলকে।

প্রসঙ্গত এবারের ভবানীপুরের উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচারে আসার কথা ছিল বাবুল সুপ্রিয়র। একথা বিজেপি তরফে জানানো হলেও পরে বাবুল সুপ্রিয় তা অস্বীকার করেন।

প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে শুভেচ্ছা জানালেও প্রচারে আসবেন না সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন। হঠাৎই আজ দুপুরে তিনি যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাহলে ভবানীপুরের মেগা লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে দেখা যাবে কি বাবুল সুপ্রিয়কে? সে প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে।

সম্পর্কিত পোস্ট