ভুয়ো ভ্যাকসিনের ভয় ! কেন্দ্রের দুয়ারে ভ্যাকসিনে ‘না’ রাজ্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ টিকাকরণ কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে অক্ষম তাদের বাড়িতেই টিকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছে কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ডাঃ ভিকে পাল একথা জানিয়েছেন। তবে দুয়ারে টিকায় কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি মিললেও সায়নী রাজ্য সরকারের।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী, জানিয়েছেন এখনই দুয়ারে টিকা প্রয়োজন নেই। সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। তার জন্য শহর এবং মফস্বলে টিকার দুটি ডোর সম্পন্ন করাই অগ্রাধিকার।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ পেয়েছেন। টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন দুই তৃতীয়াংশ মানুষ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করে জানানো হয়েছে, দেশের ১৮ বছর বয়সী মোট জনসংখ্যার ৬৬ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, “আমরা বুঝতে পারছি যে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা শয্যাশায়ী। যাঁদের যাতায়াত করার ক্ষমতা নেই। টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে যাঁরা অক্ষম। তাঁদের তালিকা তৈরিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা স্তরে তৈরি করতে হবে সেই তালিকা।”
ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ একাধিক এলাকা, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৬০০ রিলিফ ক্যাম্প
নীতি আয়োগের সচিব ডঃ ভিকে পাল জানিয়েছেন, এবিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বর সমস্ত রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷ এলাকাভিত্তিক স্তরে চলবে এই প্রকল্প। তবে কি কারণে ওই সমস্ত ব্যাক্তিরা ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে উপস্থিত হতে পারছেন না, তা খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কিন্তু রাজ্যে প্রথম থেকেই দুয়ারে টিকাকরণের বিরুদ্ধে। কসবায় ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সেই সময়ই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ব্যক্তিগত উদ্যোগে টিকাকরণ শিবির করতে পারবেন না।
একইসঙ্গে নির্দেশ ছিল, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোনওমতেই টিকা দেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্য ভবনের অনড় মনোভাবের জন্য কলকাতা পুরসভা এলাকায় বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বাড়িতে টিকাকরণের ভাবনা চিন্তা করা হলেও, পরবর্তীতে তা বাতিল করতে হয়।