ফুঁসছে দামোদর-অজয়-শিলাবতী, প্লাবিত একাধিক এলাকা

বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে দামোদর ও অজয় নদ।

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুজো দোরগোড়ায় নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে জেরবার আমজনতার জীবন। বৃষ্টি থামার নাম নেই। আজও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। এর মাঝেই ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে ফুঁসছে একাধিক নদী।

শুক্রবার সকালে দুর্গাপুর ব্যরাজ থেকে ছাড়া হচ্ছে ১,৯৪,১০০ কিউসেক জল। বীরভূমের সিউড়ি তিলপাড়া জলাধার থেকে জল ছাড়া হল ১১ হাজার কিউসেক। যদিও ম্যাসাঞ্জোর জলাধার থেকে এখনো কোনো জল ছাড়া হয়নি।

বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বইছে দামোদর ও অজয় নদ। অজয়ে বাঁধ ভেঙে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের সাঁতলা ও ধুকুর গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করায় আতঙ্কে এলাকাবাসী।

মঙ্গলকোটের কুমারপুর গ্রামে ধান জমিও প্লাবিত।অজয় ও হিংলো নদী তীরবর্তী এলাকায় চাষ জমিগুলো জলমগ্ন। দামোদরের জল বাড়ায় জেলার রায়না ও জামালপুরের নীচু এলাকায় জল ঢুকে প্লাবন হতে পারে। কেশবচক, সন্তোষপুর, তালপুর এবং চাঁপাডাঙ্গা পঞ্চায়েত এলাকার নিম্ন দামোদর এলকা বন্যা কবলিত।

শিলাবতী নদীর জল ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে ঘরের ভিতর। ঘাটালের শিলাবতি, কেঠিয়া,ঝুমি সহ অন্যান্য নদীর জল ক্রমশ বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে এবার দক্ষিণবঙ্গ ছেড়ে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। তার মধ্যে মালদা এবং দুই দিনাজপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি।

যদিও হাওয়া অফিস জানিয়েছে এবার বিদায় নিতে চলেছে বর্ষা। নিম্নচাপের জেরে সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। নিম্নচাপ এখন ঝাড়খন্ড বিহারের উপরে রয়েছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতেও আজও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। নিম্নচাপ স্থান বদল করা কলকাতায় বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে খবর।

সম্পর্কিত পোস্ট