বন্যা পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে, সাফ জানালেন অধীর চৌধুরী
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দুর্গা পুজোর সময় এবার রাজ্য সরকার বিশেষ কড়াকড়ি করছে না। কিন্তু বৃহত্তর প্রেক্ষপটে স্বাস্থ্যের বিষয়টি আগে মাথায় রাখা উচিত ছিল বলে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এই প্রসঙ্গে তিনি কেরলার উদাহরণ তুলে ধরেছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কথায়, “করোনা এমন একটা ভাইরাস যাতে সবাই নিরাপদ না হলে কেউ নয়। করোনা আছে। তাই আমরা কেউ নিরাপদ নই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথা শুনেই সব করা উচিত।”
অধীর চৌধুরী এদিন জানিয়েছেন বাঙালি মানেই দুর্গা পুজো। কিন্তু একটা সামান্য ভুলের জন্য যেতে আগামী দিনে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে না আসে সেই বিষয়ে সকলকে সতর্ক করে দেন তিনি।
বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভারতবর্ষের রোল মডেল হয়ে উঠেছিল কেরালা। কিন্তু তাদের একটা ভুলে সবকিছু শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা কোনরকম সতর্কতা না মেনে ওনাম পালন করে। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। আজকে কেরালার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
অন্যদিকে এদিন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকেও দায়ী করেন তিনি। সম্প্রতি অতিবৃষ্টির কারণে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও এটা পরিষ্কার রাজ্যের খাল নদী-নালায় সংস্কারের কাজ না হওয়াতেই আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতি।
অথচ বরাবরের মতই শাসকদল তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ডিভিসি জল ছাড়ায় এই বিপর্যয় ঘটেছে। এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সামনে তুলে ধরলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
ইউপিএ সরকারের আমলে অধীর চৌধুরীর প্রচেষ্টায় কান্দি মাস্টার প্লান পাস হয়। তার জন্য কেন্দ্র টাকা বরাদ্দ করে। রাজ্যে এই বিষয়ে কাজ শুরু হলেও এবারের বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে কান্দি সহ মুর্শিদাবাদের বিস্তীর্ণ এলাকা।
অধীর চৌধুরী বলেন, “আমরা টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন ভাল কাজ হল না, কেন বাঁধে ফাটল দেখা দিল, কেন নিম্নমানের সামগ্রীতে কাজ হয়েছে, ঠিকাদার কেন দুর্নীতি করেছে এর জবাব একমাত্র রাজ্য দিতে পারবে। কিন্তু আমরা কোনও প্রশ্ন করলেই বলবে বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে বলে এই বন্যা।”
তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গ যেহেতু গঙ্গা অববাহিকা অঞ্চলে অবস্থিত তাই এখানে জল এসে জমা হবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু তৃণমূল আমলে রাজ্যে সঠিকভাবে সংস্কার কাজ না হওয়ায় এই বিপর্যয় তৈরি হয়েছে।