সময়ই চাননি বাবুল জানালো স্পিকারের অফিস
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরেই দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। নৈতিকতার রোষালনে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন বাবুল। বলেও ছিলেন স্পিকারের থেকে সময় চেয়েছিলেন কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা দিল্লিতে না থাকার কারণে সময় দিতে পারেননি। বাবুল সুপ্রিয়র সেই যুক্তিকে খন্ডন করল লোকসভার সচিবালয়।
শুক্রবার স্পিকার ওম বিড়লার অফিসের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, লোকসভার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য স্পিকারের থেকে বাবুল সুপ্রিয় সময় চাননি। স্পিকার ওম বিড়লা ২ থেকে ৫ তারিখ অবধি দিল্লিতে থাকবেন৷ বাবুল সুপ্রিয় চাইলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারেন৷
পাল্টা বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ২০ সেপ্টেম্বর চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তার রিসিভ কপি নিজের স্যোশাল মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বাবুল। সেইসঙ্গে সাংসদ সৌগত রায় আলাদা করে স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বলে জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
উল্লেখ্য সপ্তাহ দুয়েক আগেই সকলকে চমকে দিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সদস্যপদ গ্রহণ করেন তিনি। এরপর বিজেপির নেতাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয় সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিন তিনি৷ পাল্টা বাবুলের জবাব ছিল স্পিকারের থেকে সময় চেয়েছেন। কিন্তু সময় দেওয়া হয়নি৷ তাই দিল্লির পাট চুকিয়ে কলকাতায় উপস্থিত হয়েছেন তিনি৷
শোনা যাচ্ছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর চলতি মাসেই ৪ টি কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন তিনি৷ সেখান থেকে সোজা পেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভার পদও। কারণ, বাবুলের কথাতেই স্পষ্ট যে তিনি তৃণমূলের প্রথম একাদশে থেকে কাজ করতে চান। তাহলে কী কেন্দ্রের মন্ত্রীসভার পদ হারিয়ে রাজ্যে মন্ত্রীসভায় জায়গা পেতে পারেন তিনি? যা ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা৷