জলযন্ত্রণা থেকে পাকাপাকি শহরবাসীর মুক্তি, বাগজোলা ও কেষ্টপুর খাল সংস্কারে উদ্যোগী রাজ্য

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জল যন্ত্রণা থেকে কলকাতা শহরবাসীকে পাকাপাকিভাবে মুক্তি দিতে রাজ্য সরকার কলকাতার দুই প্রধান খাল সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে। বাগজোলা ও কেষ্টপুর খাল সংস্কারের কাজে গতি আনতে রাজ্যের নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়েছেন।

কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল সংস্কারের ব্যাপারে তিনি সম্প্রতি সেচ দপ্তর, কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং কলকাতা পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি যত দ্রুত সম্ভব খাল সংস্কার প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

শহর ও শহরতলির নিকাশি জলের একটা বড় অংশ বয়ে যায় কেষ্টপুর ও বাগজোলা খাল দিয়ে। এই দু’টি খালের বিভিন্ন অংশ মজে গিয়েছে। জমেছে পাঁক। ফলে কমেছে খালের বহন ক্ষমতা। তার উপর
বিপদ বাড়িয়েছে আবর্জনা। যা জল ধারণ ক্ষমতাকে আরও কমিয়ে দিয়েছে।

৩০ ঘন্টা বন্দী থাকার পর গ্রেফতার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

এদিকে, গত কয়েক মাসে মহানগরীতে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেই চাপে বিভিন্ন জায়গায় খালের জল উপচে চলে এসেছে রাস্তায়। সেচ ও জলপথ পরিবহণ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সচিব গত ২৯ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে বলেছেন, প্রতি পাঁচ-সাত বছর অন্তর এই খাল সাফাই করা হয়।

বাগজোলা খালের পাঁক তোলা হয়েছিল ২০১৯-’২০ সালে। তবে লোয়ার বাগজোলা খাল শেষ পরিষ্কার করা হয়েছে ২০১৫-’১৬ সাল নাগাদ। নিউ কাট, কেষ্টপুর এবং সাড়ে ১৫ কিমি লম্বা ভাঙ্গড় কাটা খালের পাঁক শেষবার তোলা হয়েছে ২০১৪-’১৫ সালে। খালগুলি থেকে ভাসমান আবর্জনা তোলা হলেও তা নিয়ে গিয়ে ফেলার জন্য উপযুক্ত জায়গার অভাব দেখা দিয়েছিল।

নিউ কাট, কেষ্টপুর এবং আপার ও লোয়ার বাগজোলা খালের জল ও পাঁকের পরিমাণ হিসেব করতে কলকাতা ও সংলগ্ন পুরসভাগুলি সমীক্ষা করতে চলেছে। সেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে সমীক্ষা শুরু হবে। চলবে একমাস।

তার ভিত্তিতে তৈরি করা হবে ডিটেলড প্রজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর)। তারপর ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়ে যাবে কাজ। ধরে নেওয়া হচ্ছে, ২০২২ সালের মে মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সম্পর্কিত পোস্ট