করোনা আবহে ইছামতি নদীতে বিসর্জনে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা, লঙ্খন করা যাবে না সীমানা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনার জন্য টাকিতে পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিমা বিসর্জনে নতুন নিয়ম লাগু করেছে প্রশাসন। ইছামতি নদীর ভারতীয় সীমান্তের দিকে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা একেকটি নৌকোতে একটি করে প্রতিমা আট জন মানুষ থাকবে। যারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবে না।
অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে বাংলাদেশিরা ঠিক একইভাবে নৌকোতে করে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন করবে। তারাও ভারতীয় সীমান্তে আসতে পারবে না। আর এই ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
যারাই নথিভূক্ত করবে তারাই শুধুমাত্র নদীতে বিসর্জনের অনুমতি পাবে। বাকিরা নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে বিসর্জন উপভোগ করবে। তবে সেটা করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। দুই দেশের পক্ষ থেকে এমনটাই নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর মন খারাপ হাসনাবাদ ও টাকি পুজো উদ্যোক্তাদের।
এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই বাংলার মানুষ একত্রিত হত প্রতিবার। এবার সেটা আর হবে না। শুধুমাত্র নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ওই পারের বিসর্জন দেখতে হবে এবার বাংলাবাসীদের।
৩০ ঘন্টা বন্দী থাকার পর গ্রেফতার কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী
প্রতিবছর হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র ইছামতি নদীতে নৌকোয় করে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে এই রকম আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা।
বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআর ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফদের নজরদারি থাকত কড়া। কিন্তু করোনা আবহে শুধু বিসর্জনটুকুই হবে ইছামতি নদীতে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষ আর এক সঙ্গে মিলিত হতে পারবে না।