দিলীপ সরতেই পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে কৈলাস বিজয়বর্গী, থাকছেন মালব্য-মেনন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যাপকভাবে পর্যদস্ত হলেও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বদের দিকে আঙুল তোলেন এ রাজ্যের কর্মীসমর্থকরা। নিশানায় ছিলেন তৎকালীন পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। একাধিকবার বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়কে নাম করে এই সমস্ত নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ করতে দেখা গিয়েছে।
তবে ফের নির্বাচনী পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেও আরও কৈলাস বিজয়বর্গীর ওপরে ভরসা রাখতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি । গেরুয়া শিবির সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি। সহকারি পর্যবেক্ষকের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ও অরবিন্দ মেননকে।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর এ রাজ্য থেকে চলে গিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তারপর তিনি আর আসেননি। মুকুল রায়ের সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ব্যক্তিগত যোগাযোগ মধুর বলেই জানতেন সকলে। এহেন মুকুল রায় তৃণমূলে নাম লেখায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে রদবদল করেছে পদ্ম শিবির। মেয়াদ ফুরানোর আগেই দিলীপ ঘোষকে অপসারণ করা হয় রাজ্য সভাপতির পদ থেকে। পরিবর্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি করা হয়।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দিলীপ-মুকুল-কৈলাস এই তিন মূর্তি বিধানসভা নির্বাচনের আগে এরাজ্যে বড় দায়িত্বে ছিলেন। নির্বাচন মিটে যেতেই পুরনো দলে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়। সেই ধাক্কা ভালোভাবে নিতে পারেননি বিজেপির নেতৃত্বরা। ফাটল ধরে সম্পর্কে।
প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষ কোনোভাবেই মানিয়ে নিতে পারছেন না বলেই বঙ্গ বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তাই রাজ্য সভাপতি পদে এমন একজনকে চাইছিলেন তারা যিনি বিরোধী দলনেতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে পারবেন।
শোনা যায় মুকুল রায় পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে দিলীপ ঘোষের। তাই তড়িঘড়ি এর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই বড় রদলবদলে সংগঠন মজবুত হবে বলেই মনে করছে গেরুয়া শিবির।