রীতি মেনে ইছামতীতে বিসর্জন, উপেক্ষিত করোনা বিধি
দ্য কোয়ারি ডেস্ক: করোনার কথা মাথায় রেখে আগে থেকেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বসিরহাট জেলা পুলিশ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এক একটি নৌকাতে করে আট জনের বেশি পুজো উদ্যোক্তারা উঠতে পারবে না। পাশাপাশি উভয় দেশের কেউই তাদের সীমান্ত পেরিয়ে অন্য সীমান্তে যেতে পারবেনা।
সেই নিয়ম অনুযায়ী শুক্রবার হাসনাবাদের টাকির ইছামতি নদীতে হয় বিসর্জন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে ক্রমশ। সেই সঙ্গে উধাও হয়ে যায় করোনা বিধি। নদী বক্ষে কড়া নজরদারি চললেও করোনা বিধি নিয়ে সেই অর্থে চোখে পড়েনি কড়াকড়ি।
পাশাপাশি পুরনো রীতিনীতি মেনে এদিন প্রথম টাকির পুবের ৪২৬ জমিদারবাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়। তারপর অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন হয়। বহু বছর ধরে এই রীতিনীতি এই রেওয়াজ চলে আসছে। এদিন ২৬ জন বেয়ারা টাকির পুবের জমিদারবাড়ির প্রতিমা প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে বিসর্জন করে। তারপর অন্যান্য প্রতিমা বিসর্জন হয় এই ইছামতি নদীতে।
করোনার জন্য টাকিতে পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিমা বিসর্জনে নতুন নিয়ম লাগু করেছে প্রশাসন। ইছামতি নদীর ভারতীয় সীমান্তের দিকে শুধুমাত্র পুজো উদ্যোক্তারা একেকটি নৌকোতে একটি করে প্রতিমা সহ আট জন মানুষ থাকবে। যারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করতে পারবে না।
অপরদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে বাংলাদেশিরা ঠিক একইভাবে নৌকোতে করে প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন করবে। তারাও ভারতীয় সীমান্তে আসতে পারবে না। আর এই ইছামতি নদীতে প্রতিমা বিসর্জন করার জন্য আগে থেকে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে।
হাসনাবাদের টাকি পর্যটন কেন্দ্র। ইছামতি নদীতে নৌকোয় করে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে আনন্দে মেতে উঠতেন দুই বাংলার মানুষেরা। বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিডিআর) ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)দের নজরদারি থাকত কড়া। কিন্তু করোনা আবহে শুধু বিসর্জনটুকুই হয় ইছামতি নদীতে। কিন্তু দুই বাংলার মানুষ আর এক সঙ্গে মিলিত হতে পারলেন না।