বৃষ্টি থামলেও ভর্তি নদী বাঁধ, বিপদ ঘনাচ্ছে কেরলে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সোমবার বৃষ্টি থামলেও কমছে না কেরলে দুর্যোগের আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার থেকে ফের কেরলের একাধিক এলাকায় হতে পারে ভারী বৃষ্টিপাত। একটানা বৃষ্টিতে এমনিতেই জলে পূর্ণ নদী বাঁধগুলির অবস্থা ভয়ঙ্কর। ফের বৃষ্টিতে জল ছাড়লে পরিস্থিতি ২০১৮ এর মতো হতে পারে।

মঙ্গলবার ইদামালায়ার এবং ইদুক্কি থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই উপকুলবর্তী এলাকাগুলিতে জারি রয়েছে কড়া সতর্কতা৷ শোলায়ার এবং কাক্কি নদী বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে এমনিতেই চালাকুড়ি এবং পম্পা নদী তীরবর্তী একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই সমস্ত এলাকাগুলিতে আগামী শুক্রবার অবধি লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক সেরে ফেলেছেন। জলস্তর এবং গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে একটি বিশেষজ্ঞ দল গঠন করা হয়েছে। বন্যা আসার আগেই নীচু এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে বিপদ বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে

রাজ্যজুড়ে ২৪৭ টি রিলিফ ক্যাম্প করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর সকাল ১১ টা থেকে ইদুক্কি এবং ইদামালায়ার থেকে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের পুর্বাভাস, বুধবার থেকে শুক্রবার অবধি ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে৷ এমত অবস্থায় সমস্ত বাঁধগুলিকে একসঙ্গে না খুলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে চাইছে সরকার।

আলাপুজ্জা, কান্নুর, কাসারাগোরে বুধবার থেকে শুক্রবার অবধি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আলাপুজ্জার পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সেরেছে জেলা প্রশাসন৷ একটি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ইতিমধ্যেই আলাপুজ্জাতে পাঠানো হয়েছে।

বন্ধ রাখার হয়েছে সবরীমালা দর্শন। গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ২০ সেমি এর অধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সোমবার বৈঠক করেই আপাতত দর্শনার্থীদের জন্য সবরীমালার দর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্দীর কর্তৃপক্ষ। পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে কলেজের পরীক্ষার তারিখও।

সম্পর্কিত পোস্ট