রণক্ষেত্র রাজধানী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে জরুরী বৈঠকে অমিত শাহ-কেজরিওয়াল

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে মঙ্গলাবারও উত্তপ্ত হল রাজধানীর রাজপথ।

পাথর ছোঁড়া, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, এবং দোকানে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উত্তর-পূর্ব দিল্লি। মৌজপুর ও ব্রহ্মপুরীতে CAA-র সমর্থনকারী ও বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে।

ওই ভয়ঙ্কর হিংসার ঘটনায় নিহত হন ১ পুলিশকর্মী সহ মোট ৭ জন এবং আহত হন বহু মানুষ। মঙ্গলবারও উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে উত্তেজনা বজায় রয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ ও র‌্যাফ। গোটা এলাকাজুড়ে ফ্ল্যাগ মার্চ চালাচ্ছেন তারা। ট্রাম্পের ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে এহেন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কপালে চওড়া ভাঁজ পড়েছে তাতে সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুনঃ মার্কিন ঘাতক অস্ত্রে ভরতে চলেছে দেশের সামরিক ভান্ডার

মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেন, “আমি দিল্লির কিছু অংশের পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন, সবাইকে সহিংসতা ত্যাগ করার আবেদন জানাচ্ছি। দিল্লির হিংসাপ্রবণ এই অঞ্চলগুলির বিধায়ক এবং সব দলের প্রধানদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করছি”।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ স্বয়ং দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ​​ভাল্লা, গোয়েন্দা ব্যুরোর পরিচালক অরবিন্দ কুমার, দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পাটনায়েক সহ অন্যান্য উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকরা।

ইতিমধ্যেই উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। যার ফলে সেখানে কোনও বড় সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।যদিও এরই মধ্যে জেএনইউ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল করার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও দিল্লি পুলিশ তাঁদের এই মিছিলে অনুমতি দেয়নি।

আরও পড়ুনঃ দিল্লির ১০ এলাকায় ১৪৪ ধারা, শান্তিরক্ষার আবেদন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর

সোমবারের মত এদিনও জাফরাবাদ, মৌজপুর-বাবরপুর, গোকুলপুরী, জোহরি এনক্লেভ এবং শিব বিহার মেট্রো স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই সমস্ত স্টেশনে বন্ধ রাখা হয়েছে মেট্রো চলাচলও।  উত্তর-পূর্ব দিল্লির সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলও বন্ধ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল রাতেই দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই মুহূর্তে রাজধানীতে রয়েছেন। তাই যত শীঘ্র সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ দিন দুপুরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অনিল বৈজল এবং অন্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকেই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে দ্রুত সম্ভব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট